উলন সাবস্টেশনে বিপর্যয়: টানা ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন

উলন গ্রীড সাবস্টেশনে পাইপ ফেটে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এতে রাজধানির এক অংশে একটানা পুরো প্রায় ছয় ঘন্টা পুরো অন্ধকারে থাকতে হয়েছে। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত এক টানা বিদ্যুৎ ছিলনা।
বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। এ কারণে  রাজধানীর অন্য সকল এলাকাতেও ঘন ঘন লোডশেডিং হয়েছে। সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ঠ প্রকৌশলীরা রাত নয়টা পর্যন্ত কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
ডিপিডিসি সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরের পরে উলন গ্রীড সাবস্টেশনের গ্রীড ব্রেকারে সমস্যা দেখা দেয়। এতে রাজধানির ধানমন্ডি, কাকরাইল, আজিমপুর, কাওরান বাজার, পরিবাগ, পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থান, শ্যামলী, গাবতলী, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, মালিবাগ, বেইলীরোড, সিদ্ধেশরী, বাসাবো,  গ্রিন রোড, রাজাবাজার, মনিপুরি পাড়া, কাঁটাবন, রামপুরা, বনানীসহ বিভিন্নস্থানে স্থানে একটানা বেশ কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। অন্য এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না থাকার মত। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। বিদ্যুৎ না থাকায় পানি তোলা যায়নি। অন্যদিকে ছিল গরম। সব মিলিয়ে নানা দুর্ভোগ নিয়ে দিন পার করতে হয়েছে।
ডিপিডিসি জানায়, প্রায় তিন ঘন্টা পর কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ দেয়া শুরু হয়েছে। পরে পর্যায়ক্রমে বিকল্প লাইনে অল্প অল্প করে বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে।
শান্তিনগরের এক বাসিন্দা ফোন দিয়ে জানান, বিকাল সোয়া তিনটায় তার বাসায় বিদ্যুৎ চলে গেছে। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত আসেনি। একটানা এই প্রায় ছয় ঘন্টা বিদ্যুৎগীন অবস্থায় নিদারুন কষ্ট নিয়ে থাকতে হয়েছে।
ডিপিডিসি পরিচালক (অপারেশন) মো. মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার রাত আটটায় বলেন, সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে। সমাধানের কাজ চলছে। আরও তিন ঘন্টা লাগবে। বিকল্প ব্যবস্থায় কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে। এই সব এলাকায় একেবারেই বিদ্যুৎ ছিল না এমন পরিস্থিতি হয়নি বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, সাবস্টেশনের একটি কম্প্রেসারের পাইপ ফেটে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিকেল তিনটায় এই ঘটনা ঘটার পর মেরামতের চেস্টা করা হয়। কিন্তু পরে ব্রেকার লিক করে গ্যাস বের হওয়া শুরু হয়। এতে নতুন সমস্যা তৈরী হয়। এটাও মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিকল্প ব্যবস্থায় অন্য সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুৎহীন এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহের চেস্টা করা হচ্ছে।
এদিকে পরিবাগ আজিমপুর ধানমন্ডি এলাকার একাধিত বিদ্যুৎ গ্রাহক অভিযোগ করেছেন, বিকাল তিনটার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেছে। কিন্তু রাত নয়টা পর্যন্তও আসেনি। একটানা প্রায় ছয় ঘন্টা বিদ্যুৎহীন অবস্থায়। হঠাৎ করে প্রায় ৫/৬ ঘণ্টার লোডশেডিং এর কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হযেছে।