একশ ওয়াট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেয়া উচিত – অর্থ প্রতিমন্ত্রী
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, একশ ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে বিতরণ করতে পারলে ভাল। এতে যে লোকসান হবে তা বেশি ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নেয়া যেতে পারে।
শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সপ্তাহ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিদ্যুতে বেসরকারি খাতের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব আবুল কালাম আজাদ, জ্বালানি বিভাগের সচিব আবু বকর সিদ্দিক, বিদ্যুৎ উন্নয়ণ বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুহু র“হুলাহ, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ খান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণ বিদ্যুৎ চায়। তারা তিনগুণ মূল্য বাড়ালেও দিতে রাজি আছে। সে কারণে মূল্য নিয়ে চিন্তা করার অবকাশ আছে। উত্তরাঞ্চলের কয়লার চেয়ে যদি আমদানি করা কয়লায় সাশ্রয় হয় তাহলে। অষ্ট্রেলীয়া কেন চন্দ্র থেকে কয়লা এনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। তিনি বলেন, বেসরকারি খাত এখন পরিচালকের ভ’মিকায় এসেছে। তাদেরকে সরানোর কোন সুযোগ নেই। সরকার তাদেরকে সহযোগিতা করে দেশকে এগিয়ে নিতে চায়।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিদ্যুতের ব্যাংক সুদের হার অনেক বেশি। ক্ষেত্র বিশেষে না বলা চার্জসহ ২০ শতাংশের মতো পড়ে বলে শুনেছি। এই চার্জ বেশি বলে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেশি পড়ে। উৎপাদন খরচ বেশি বলে গ্রাহকের কাছ থেকেও বেশি অর্থ নিতে হয়। এজন্য বিদ্যুৎখাতের ঋণের সুদ কমানো উচিত। তিনি বলেন, বিদ্যুতে কোন কুঋণ নেই। যে ব্যাংকেই ঋণ দিয়েছে সময় মতো ফেরত পেয়েছে। সরকার ৩ বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ খাত থেকে ভর্তূর্কি তুলে দেয়ার পরিকল্পনা করেছে। তাতে হয়ত গবীর লোকজনের কষ্ট হবে। তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ খান। তিনি বলেন, এই মুহুর্তে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। এরফলে সাড়ে ৪৫ লাখ শ্রমিক, ৫০টি বাণিজ্যিক ব্যাংক, ১৬০ মিলিয়ন মানুষের খাদ্য যোগানে সহায়তা করছে। বেসরকারিখাত বার্ষিক উন্নয়নে (জিডিপি) ৮০ শতাংশ ভূমিকা রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যুতের সঞ্চালন বিষয়টি খুবই চ্যালেঞ্জিং। বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগ থাকলেও সঞ্চালনে বিনিয়োগের সুযোগ নেই। এ বিষয়টি ভেবে দেখার সময় এসেছে।