এলপিজি সম্মেলন: নিরাপত্তা নিশ্চিত ও দাম কমানোর দাবি
তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলপিজি) এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার সিলিন্ডার বাজারজাত করা যাবে না। এর দাম কমাতে হবে।
দুু’দিনের এলপিজি সম্মেলনে এমনই দাবি করেছে গ্রাহকরা।
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় দুদিনের এই সম্মেলন শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। আজ বুধবার শেষ।
সম্মেলনে বিনিয়োগকারী, বিশ্বের স্বনামধন্য গ্যাস বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান, সরকার, এনজিও এবং কারিগরি সহায়তাকারী সবাইকেই এক ছাদের নিচে পাওয়া যাচ্ছে।
এলপিজি সম্মেলন আয়োজন করেছে ডব্লিউ এলপিজিএ, অল ইভেন্ট গ্রুপ এবং সিঙ্গাপুর ও গেন্টাবাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড বাংলাদেশ। সম্মেলনে ২৫০ বিদেশী প্রতিনিধিসহ ৮০টি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মান, কোরিয়া, চীন, তুরস্ক, ইতালি, মালয়েশিয়া এবং ভারত।
৫ম বারের মতো দেশে এলপিজি সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাসা-বাড়িতে এলপিজি এলপি গ্যাস জনপ্রিয় করতে এর নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এই সম্মেলনের আয়োজন।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি মাসে সাড়ে তিন লাখ এলপিজি সিলিন্ডারের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এক লাখ সিলিন্ডার উৎপাদন হচ্ছে, বাকি সিলিন্ডার আমদানি করতে হয়। আমদানি করা এসব সিলিন্ডারের মান নির্ণয়ে কোন পরীক্ষাগার নেই।
সম্মেলনের পাশাপাশি মঙ্গলবার ‘বাংলাদেশের এলপিজি এবং জ্বালানি বাজার উন্নয়নের সুযোগ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বাসাবাড়িতে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার এখন আর উপযুক্ত নয়। এটা অপচয়। এ অবস্থায় এলপিজিই বড় সমাধান। তিনি বলেন, এলপিজি কিভাবে আরও গ্রাহকবান্ধব এবং নিরাপদ করা যায় তা নিয়ে উদ্যোক্তাদের কাজ করতে হবে। জনগণের সাধ্যের মধ্যে এর দাম না থাকলে তা বিলাসপণ্য হিসেবে গণ্য হবে। নিত্যদিনের পণ্য হয়ে উঠবে না।
এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সালমান এফ রহমান, সালমান এফ রহমান বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের সংকট মোকাবিলায় বাসাবাড়িতে এলপি গ্যাস এবং পরিবহনে অটোগ্যাসের ব্যবহার হতে পারে বড় সমাধান। এলপিজি নিয়ে নীতিগত ঘাটতি অনেকটাই দূর হয়েছে। এখন গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে এর দাম রেখে বাজারজাত করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি খাতের সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।
এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লা আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় সেমনিারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ, এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র সহ-সভাপতি আজম জে চৌধুরী, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ওয়ার্ল্ড এলপিজি অ্যাসোসিয়েশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইকেল কেলি ও এলপিজি সামিটের পরিচালক ভিনসেন্ট চয়।
বক্তারা বলেন, এলপিজি’র দুর্ঘটনাজনিত ভয় রয়েগেছে। বাজার থেকে সব নিম্নমানের ও মেয়াদউত্তীর্ণ সিলিন্ডার সরিয়ে ফেলতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে।