কার্বণ বাণিজ্য করবে বাংলাদেশ

কার্বণ বাণিজ্য করবে বাংলাদেশ। পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি ব্যবহারে এগিয়ে থাকায় এই বাণিজ্য করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে একথা বলেন। ডিআরইউ সাগর-রুনী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মিট দ্যা প্রেসে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মোট উৎপাদনের ৬৩ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে গ্যাস দিয়ে। গ্যাস পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি। পৃথিবীর খুব কম দেশই এই পরিমান পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি ব্যবহার করে। গ্যাস বেশি ব্যবহারের কারণে কাবর্ন নিঃসরণও কম হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এবিষয়ে সরকার উদ্যোগ নিতে পারেনি। খুব শিগগির এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নাইকোর সাথে চুক্তি বাতিল করতে স্থানীয় আদালতে মামলা করতে যাচ্ছে জ্বালানি বিভাগ। এজন্য পরামর্শ নিতে এটর্নি জেনারেলের কাছে মামলার তথ্য উপাত্ত জমা দেয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সময় এই অসম চুক্তি করা হয়। আন্তর্জাতিক আদালতে নাইকোর সাথে যে মামলা চলছে তার নথিও জমা দেয়া হয়েছে।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠন ও পরিবেশবাদীরা সমালোচনা করছেন  মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা সমালোচনা করছে তাদের বক্তব্য আমরা শুনছি, তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। একই সঙ্গে প্রকল্পের কাজও চালিয়ে যাবো।

dru meet the press-energy bangla

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যারা সমালোচনা করছেন তারা এই কয়লা ব্যবহার করেই উন্নত হয়েছে। এখন তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলছেন। তাদের মাথাপিছু আয়, বিদ্যুতের ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে আকাশ পাতাল পার্থক্য। সুতরাং কয়লা আমাদের ব্যবহার করতেই হবে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে কয়লা ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি এসেছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই মাতারবাড়ি, পায়রা ও রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পরিবেশবাদীদের ধারনা পাল্টে যাবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের সংকট মোকাবিলায় আবাসিকে এলপিজি ব্যবহার উৎসাহিত করা হচ্ছে। এজন্য এলপিজি নীতিমালা করা হয়েছে। আগামী মাসেই এই নীতিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি দামের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে নীতিমালাও করা হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যে এটি চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, সাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধানে জরিপ করা হচ্ছে। এই জরিপের কাজে সময় লাগছে। বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে এমন অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। যা একেবারেই নতুন। সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এই ধরনের নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন পিছিয়ে পড়ছে।

dru meet the press-energybangla

তিনি জানান, আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনবে। ভারতের ভূমি ব্যবহার করে এ বিদ্যুৎ আনা হবে। সম্প্রতি ভারত এই বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভ’মি ব্যবহারে সম্মতি দিয়েছে। আগামী মাসে নেপালে সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি হবে। নেপালের জলবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশ। পরে এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। এক্ষেত্রে দাম পড়বে অনেক কম।

আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় কাগজ বিহীন হবে