কুড়িগ্রাম ও শেরপুরে বিদ্যুতের নতুন উপকেন্দ্র হচ্ছে

কুড়িগ্রাম জেলা ও শেরপুরে (বগুড়া) বিদ্যুৎ সঞ্চালন সক্ষমতা বাড়াতে নতুন দুইটি উপকেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে পিজিসিবি। একই সঙ্গে আরো ছয়টি উপকেন্দ্রের ক্ষমতা বাড়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশের িেপজিসিবি) প্রধান কার্যালয়ে একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। এনার্জিপ্যাক-দাইউ যৌথ কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পিজিসিবি।
বর্তমানে বগুড়া জেলায় যে উপকেন্দ্র আছে তার মাধ্যমে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়। শেরপুরে ১৩২/৩৩ কেভি নতুন উপকেন্দ্র হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা আরো ভাল হবে। এদিকে কুড়িগ্রামে কোনো উপকেন্দ্র ছিল না। এ জেলায় ১০ থেকে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা পাশের জেলা থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের মাধ্যমে পূরণ করা হয়। নতুন উপকেন্দ্র স্থাপন হলে এ অবস্থার উন্নতি ঘটবে।
অনুষ্ঠানে পিজিসিবির পক্ষে কোম্পানি সচিব মো. আশরাফ হোসেন এবং কনসোর্টিয়ামের পক্ষে এনার্জিপ্যাক মহাব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত) এস.এম. আমিনুল হক ও দাইউ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জু-ইল-জিওন চুক্তিতে সাক্ষর করেন। এ সময় পিজিসিবি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম-আলবেরুনী, নির্বাহী পরিচালক (পিএন্ডডি) চৌধুরী আলমগীর হোসেন, নির্বাহী পরিচালক (ওএন্ডএম) মো. এমদাদুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক (এইচআর) মোহাম্মদ শফিকউল্লাহ,  প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক মো. শহীদ হোসেন এবং এনার্জিপ্যাক এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ী, আগামী দুই বছরের মধ্যে উপকেন্দ্র দুইটি স্থাপন করে পিজিসিবির কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ কাজের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৩ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংক, বাংলাদেশ সরকার ও পিজিসিবি যৌথভাবে এ কাজে অর্থায়ণ করছে। এছাড়া ঠাকুরগাঁও, পলাশবাড়ী, সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপকেন্দ্রের ট্রান্সফরমারের ক্ষমতা বাড়ানো হবে। রংপুর উপকেন্দ্রের ১৩২ কেভি সম্প্রসারণ করবে পিজিসিবি।