কৃষি সেচে বিদ্যুৎ লাগবে আড়াই হাজার মেগাওয়াটের বেশি 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আসন্ন ২০২৪ সালে সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের সবোর্চ্চ চাহিদা ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট হতে পারে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এরমধ্যে কৃষি সেচের চাহিদা প্রায় ২ হাজার ৫৯০ মেগাওয়াট।

বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ বিভাগে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যালোচনা সভায় এই তথ্য জানানো হয়।

গত সেচ মৌসুমের এপ্রিল মাসে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৬ হাজার মেগাওয়াট।

বর্তমানে সেচে মোট বিদ্যুৎ সংযোগ আছে চার লাখ ৮৭ হাজার ৮৫১টি। আবেদন জমা আছে নয় লাখ ৪৩২টি। শুধু সেচের জন্য জানুয়ারিতে (২০২৪) ৩৪৭ মেগাওয়াট, ফেব্রুয়ারিতে ৮৬৫ মেগাওয়াট, মার্চে এক হাজার ৯৪৯ মেগাওয়াট, এপ্রিলে দুই হাজার ৫৯০ মেগাওয়াট আর মে মাসে চাহিদা আছে দুই হাজার ৫৯০ মেগাওয়াট।

আসন্ন সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা ১৫৪ থেকে ১৭৬ কোটি ঘনফুট।

ফার্নেস অয়েলের চাহিদা এক লাখ ৫৪ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন এবং ডিজেলের চাহিদা ১৫ হাজার ৬০০ মেট্রিন টন।

আসন্ন সেচ মৌসুমে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গ্যাস, ফার্নেস অয়েল ও ডিজেল সরবরাহ বাড়াতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী যার যার দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেন।

জ্বালানি বিভাগ থেকে জানানো হয়, ফার্নেস অয়েল ও ডিজেলের কোন ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে পিক-আওয়ার বাদ দিয়ে রাত ১১টার পর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত অফ পিক-আওয়ারে সেচ পাম্প চালানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

সঞ্চালন লাইনের প্রয়োজনীয় মেরামত বা সংস্কার করাসহ সেচ কার্যক্রম পর্যালোচনা করতে বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন বিতরণ সংস্থা/কোম্পানিতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে।

আসন্ন সেচ মৌসুমে জ্বালানি পরিবহণে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ, বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ ও বিপিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বাবিউবো) পক্ষ থেকে যোগাযোগ রেখে জ্বালানি পরিবহন নিশ্চিত করা করতে বলা হয়েছে। সেচ পাম্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে গ্রিড উপকেন্দ্র, সঞ্চালন লাইন, বিতরণ লাইন ও উপকেন্দ্রগুলো জরুরি ভিত্তিতে সংরক্ষণ ও মেরামত করা হবে। ওভারলোডেড সাবস্টেশন ও সঞ্চালন লাইনের আপ-গ্রেডেশনের কাজ দ্রুত শেষ করাসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে ন্যূনতম দুইমাসের উৎপাদন ক্ষমতার সমান জ্বালানি তেলের মজুদ নিশ্চিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।