গ্যাস বিস্ফোরণে পাঁচজন অগ্নিদগ্ধ
ঘুম থেকে উঠে সিগারেটে আগুন ধরাতে রান্নাঘরে গিয়েছিলেন আবুল কালাম আজাদ। ম্যাচের কাঠিতে টোকা দেওয়ামাত্রই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ। পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। মুহূর্তেই আজাদসহ ঘরে থাকা তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও ভাতিজি দগ্ধ হন। দগ্ধ হয় পাশের ঘরের সাড়ে তিন বছরের এক শিশুও।
এই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার ভোরে রাজধানীর শ্যামপুরের মদিনা মসজিদ এলাকায়। অগ্নিদগ্ধরা বলছেন, গ্যাসলাইন থেকে বেশ কিছুদিন ধরে গ্যাস বের হচ্ছিল। বিষয়টি তাঁরা বাড়িওয়ালাকে জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। আর বাড়িওয়ালার দাবি, বিষয়টি তিনি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আর তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ধরনের কোনো অভিযোগ তারা ওই এলাকা থেকে আগে পায়নি। অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন আবুল কালাম আজাদ, তাঁর স্ত্রী জেসমিন বেগম, তাঁদের ছেলে রনি, ভাতিজি শারমিন আক্তার ও পাশের ঘরের শিশু সোহানা আক্তার। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তাঁরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার গোপালগঞ্জ গ্রামে।
ঘটনার পর সেখানে তিতাস গ্যাসের জরুরি বিভাগের একটি দল মেরামতকাজ করতে যায়। তিতাস গ্যাসের টেকনিশিয়ান আবদুর রহমান মুন্সি প্রথম আলোকে বলেন, এই এলাকার পুরো রাস্তা দিয়ে বুদ্বুদ আকারে গ্যাস বের হচ্ছে। এটি ৩০ বছরের পুরোনো একটি লাইন। রাস্তার প্রায় ১২ ফুট নিচে দিয়ে গ্যাসলাইন গেছে।