গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারনে গণশুনানী আগস্টে

নতুন করে গ্যাসের দাম ঠিক করতে গণশুনানী শুরু হচ্ছে। আগামী ৭ থেকে ১৮ই আগষ্ট এই শুনানী হবে।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিতরণ, সঞ্চালন ও উৎপাদন কোম্পানিগুলোর গণশুনানীর তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে। গ্যাসের ছয়টি বিতরণ, একটি সঞ্চালন এবং পেট্রোবাংলাসহ অন্য তিনটি উৎপাদনকারি কোম্পানির প্রস্তাবের উপরও শুনানী হবে। যে কেউ এই শুনানীতে অংশ নিতে পারে। এজন্য ১লা আগষ্টের মধ্যে বিইআরসিতে নাম তালিকাভূক্ত করতে হবে। শুনানী শেষ হওয়ার পর তিন মাসের মধ্যে এর রায় ঘোষনা করবে কমিশন।

কোম্পানিগুলো গড়ে ৬৬ থেকে ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। আর তা বাস্তবায়নের অনুরোধ করেছিল ১লা জুলাই থেকে। এপ্রিল মাসে দেয়া প্রস্তাবের উপর শুনানী হচ্ছে। শুনানী শেষে পর্যালোচনা করে বিইআরসি নতুন দাম নির্ধারন করবে।

বিইআরসি জানিয়েছে প্রথমদিন গণশুনানী হবে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লি. (জিটিসিএল) এর। এরপর পর্যায়ক্রমে ৮ই আগষ্ট তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি., ১০ই আগষ্ট পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লি., ১১ই আগষ্ট বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি., ১৪ই আগষ্ট কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি., ১৬ই আগষ্ট জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি., ১৭ই আগষ্ট সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লি. এবং ১৮ই আগষ্ট পেট্রোবাংলা, বিজিএফসিএল, এসজিসিএল ও বাপেক্স এর গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের উপর গণশুনানী হবে। প্রতিদিন সকাল ১১টায় শুনানী শুরু হবে।

বিতরণ কোম্পানিগুলো আবাসিক দুই চুলা ৬৫০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, এক চুলা ৬০০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা আর প্রতি ঘনমিটার সাত টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা ৮০ পয়সা করার প্রস্তাব দিয়েছে। শিল্পকারখানার ক্যাপটিভ পাওয়ারে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম আট টাকা ৩৬ পয়সা থেকে ১৯ টাকা ২৬ পয়সা, যানবাহনের সিএনজি ৩৫ থেকে ৫৮ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া বিদ্যুতে প্রতি ঘনমিটার দুই টাকা ৮২ পয়সা থেকে চার টাকা ৬০ পয়সা, শিল্প বয়লারে ছয় টাকা ৭৪ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৪৫ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইসতিয়াক আহমদ বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোম্পানি থেকে পেট্রোবাংলা গ্যাস কেনে। বেশি দামে গ্যাস কিনে কম দামে বিক্রি করতে হয়। আগে গ্যাস বিক্রিতে ট্যাক্স-ভ্যাট দিতে হতো না। এখন দিতে হবে। তাই কোম্পানিগুলোর ঘাটতি দূর করতে ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।

গত বছর ১লা সেপ্টেম্বর থেকে গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল।