গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনে পিছিয়ে বাংলাদেশ, ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে এগিয়ে

গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনে পেছনের সারিতে থাকলেও এই গ্যাসের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনে সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশ। প্যারিসে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২১) নিজ বক্তব্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশের ক্ষতি না করে উন্নয়নের জন্য জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়নস অব দা আর্থ’ পুরষ্কার লাভ করেছেন।

বক্তব্যের শুরুতে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণ করে শোক প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আপনাদের এই যুদ্ধে সর্বদা পাশে থাকবে বাংলাদেশ।

জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে মানবতা এবং পৃথিবীর জন্য সবচাইতে বড় হুমকি এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন. ‘বিশেষত স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মত দুর্বল রাষ্ট্রগুলো জলবায়ু পরিবর্তনে কম ভূমিকা রাখছে। কিন্তু সেই তুলনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর এখনই আমরা সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ নিতে না পারলে জলবায়ু ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আমাদের যা করার ভারসাম্য বজায় রেখে করতে হবে।’

জলবায়ু ঝুঁকিতে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপি গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পেছনে থাকলেও এর প্রভাব মোকাবেলায় বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হয় আমাদের। প্রতিবছর বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক অর্জনের ২ থেকে ৩ ভাগ খরচ হয়ে যায় পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে এবং ভবিষ্যতে এই পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবার শঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশ জলবায়ু সমস্যা মোকাবেলা করতে ২০০৯ সালে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। এই ট্রাস্ট ফান্ডে নিজের বাজেট থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছি আমরা। সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও বাংলাদেশ কার্বন নিঃসরণ কমানোর দিকে নজর দিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শক্তির দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। গত কয়েক বছরে আমরা দেশজুড়ে ৪০ লক্ষ বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ সংযোজন করেছি এবং প্রায় দেড়কোটি মানুষ এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করছে।

মন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকির কথা বর্ণনা করে সকল দেশকে চুক্তি সাক্ষরের অনুরোধ জানান।