ঘূর্ণিঝড়ে ভোলার ৬ উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

ঘূর্ণিঝড়ে গাছপালা ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ভোলার ৬ উপজেলায়। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঝড় হওয়ার পর থেকে জেলার ৬ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়নি। এতে অন্ধকারে নিমজ্জিত জেলার অধিকাংশ এলাকা। এদিকে, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। ব্যাহত হচ্ছে বরফ কলসহ ছোট বড় কারখানার উৎপাদন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বন্ধ হয়ে গেছে পৌর এলাকার পানি সরবরাহ। এতে পানি ও বিদ্যুতের জন্য অনেকটা হাহাকার চলছে। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামতের কাজ চলছে বলে জানালেও কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে তা জানাতে পারেনি বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৩টা মুষলধারে বৃষ্টির পরপরই শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। পরে তা কালবৈশাখী ঝড়ে পরিণত হয়। এতে জেলার দুর্গম এলাকা রামদাসপুর, মাঝের চর, কুকরী-মুকরী, ঢালচর, মদনপুরাসহ মূল ভূখণ্ডে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ে উপড়ে গেছে গাছ-পালা, বিনষ্ট হয়েছে কৃষকের ফসলি জমি। ঝড়ে গাছপালা ভেঙে যাওয়ায় জেলার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে, অধিকাংশ এলাকায় সকাল ১১টার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, জেলার গ্যাস ভিত্তিক সাড়ে ৩৪ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার প্লান্ট মেশিন উৎপাদনে যাওয়ার জন্য চূড়ান্ত কাজ করছিল। এ জন্য বেশ কিছু স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। বিকেলের দিকে বিদ্যুৎ চালু করার কথা থাকলেও সর্বশেষ ঝড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন সংযোগের মেরামত কাজ চলছে, খুব দ্রুত বিদ্যুৎ চালু হবে। তবে কখন চালু হবে তা জানাতে পারেনি তিনি।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জেলার একমাত্র সাড়ে ৩৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিকল হওয়ার ৯ মাস পরও চালু হয়নি। অতিরিক্ত হিসাবে আরো ২৪ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট উদ্বোধন হলেও তা পুরোপুরি সরবরাহ শুরু হয়নি। এতে জেলা জুড়ে এখনও চরম বিদ্যুৎ বিপর্যয় চলছে। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় জাতীয় গ্রিডের বরিশাল ও পটুয়াখালী থেকে মাত্র ১০/১০ মেগাওয়াট সরবরাহ হলেও তা চাদিহার তুলনায় খুবই কম। জেলায় বর্তমান বিদ্যুৎ চাহিদা ৩২/৩৪ মেগাওয়াট।