ঘোড়াশালে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে

ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর চুক্তি সই হয়েছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এইচএসবিসি ব্যাংকের সঙ্গে এবিষয়ে অর্থায়ন চুক্তি করেছে। এতে ঘোড়াশালের ১৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতা বেড়ে ৪১৬ মেগাওয়াট হবে।
সোমবার বিকেলে বিদ্যুত ভবনে দুই হাজার ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকার চুক্তিটি সই হয়।
ঘোড়াশালে পুরাতন অদক্ষ বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে দক্ষ করা হবে। এতে জ্বালানির সাশ্রয় হবে। একই পরিমান জ্বালানি ব্যবহারে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম। অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম, পিডিবি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. সামসুল হাসান মিয়া, এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নিবৃাহী কর্মকর্তা ফ্রানকোইস ডি ম্যারিকোটসহ পিডিবি ও এইচএসবিসি ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থায়ন চুক্তিতে এইচএসবিসি ব্যাংকের এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক প্রধান আর্নোড ক্যাচার্ড এবং পিডিবির সচিব জহিরুল হক সই করেন।
দরপ্রতিযোগিতার মাধ্যমে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক অলসটম এবং চায়না ন্যাশনাল ম্যাশিনারি ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি) এই কাজ করার যোগ্য বিবেচিত হয়।
সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ১৭০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য প্রতিদিন সাড়ে ছয় কোটি ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রিপাওয়ারিং হলে উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে ৪১৬ মেগাওয়াটে দাড়াবে। তবে জ্বালানি ব্যবহার বাড়বে না।
ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ১৯৮৬ সালে স্থাপন করা হয়। সিম্পল সাইকেলের কেন্দ্রটির তখন উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ২১০ মেগাওয়াট। গত ৩০ বছরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতা ৪০ মেগাওয়াট কমে হয়েছে ১৭০ মেগাওয়াট। রিপাওয়ারিং করলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সিম্পল সাইকেলের উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২৬০ মেগাওয়াট। আর কম্বাইন্ড সাইকেলে উৎপাদন ক্ষমতা হবে ৪১৬ দশমিক ৩০ মেগাওয়াট।
সিম্পল সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র যে তাপ ছেড়ে দেয় সেই তাপ দিয়ে কম্বাইন্ড সাইকেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। এখন দেশে যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র নতুন করে স্থাপন করা হচ্ছে তার সবগুলোই কম্বাইন্ড সাইকেল।
এরমধ্য দিয়ে দেশে প্রথম পুরাতন বিদ্যুৎকেন্দ্রর ক্ষমতা বাড়ানোর (রিপাওয়ারিং) কার্যক্রম শুরু হল।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, নতুন একটি কাজ শুরু হল। এরমধ্য দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় হবে। অন্যদিকে দ্বিগুনের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
বিদ্যুৎ সচিব বলেন, সময় মতো ঋণের অর্থ ফেরত দেয়ার কারণে বিদ্যুৎ খাতে অনেকেই বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। সকল আইপিপি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকেও যথাসময়ে তাদের বিলের অর্থ শোধ করা হচ্ছে। এখন শুধু সরকারি নয় বেসরকারি প্রকল্পেও বিনিয়োগ জটিলতা কেটে যাচ্ছে।