চবিতে প্রতীকী গণভোটে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রত্যাখ্যান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত প্রতীকী এক গণভোটে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পকে।
মঙ্গলবার ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে প্রতীকী এ গণভোটের ফল ঘোষণা করেন তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির চট্টগ্রাম জেলা সদস্য সচিব দেলোয়ার মজুমদার।
৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ প্রতীকী গণভোট চলে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
দেলোয়ার মজুমদার জানান, ‘সুন্দরবন, না রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র’ শীর্ষক এই গণভোটে ৯১ দশমিক ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী সুন্দরবনের পক্ষে রায় দেন। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে ভোট পড়ে ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ গণভোটে অংশ নেন ৫ হাজার ১৯৮ জন শিক্ষার্থী।
দেলোয়ার মজুমদার বলেন, “যত উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হোক না কেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবনের বায়ু, পানি ও শব্দ দূষণ ঠেকানো যাবে না। পরিবেশ ধ্বংস করে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সেটা আত্মহত্যার শামিল হবে।”
শিক্ষার্থীদের গণভোটের এই রায় সরকারে বোধোদয় ঘটাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ফজলে রাব্বীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমি, বাসদের (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলার সদস্য সচিব অপু বিশ্বাস। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবিদ খন্দকার।