চায়ের দোকানির বাড়ির এক মাসের বিদ্যুৎ বিল ১৪ লাখ টাকা
বাংলানিউজ:
বাগেরহাটে তাইজুল ইসলাম নামের এক চায়ের দোকানির বাড়ির এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ১৯৭ টাকা।
ভুতুড়ে এ বিলের খবরে চা দোকানির পাশাপাশি এলাকাবাসীর মধ্যেও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের বৈটপুর গ্রামের ওই চা দোকানির তিনজনের সংসারে দুটি বৈদ্যুতিক বাতি ও একটি ফ্যান ব্যবহার হয়। এতেই এক মাসের বিল এসেছে বিপুল অঙ্কের এ টাকা।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে দেওয়া এ বিলের কপিতে দেখা যায়, নভেম্বর মাসের সর্বমোট বিল এসেছে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ১৯৭ টাকা। নির্দিষ্ট সময়ের পরে বিলম্ব মাশুলসহ পরিশোধ করলে অতিরিক্ত ৬৬ হাজার ৫৭ টাকা দিতে হবে।
ভুক্তভোগী তাইজুল ইসলাম বলেন, অক্টোবর মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ৯৩ টাকা। নভেম্বর মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ১৯৭ টাকা। এ বিলটি হাতে পাওয়ার পরে অনলাইনেও চেক করি, সেখানেও একই অঙ্কের টাকা দেখা যায়। পরে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা বিষয়টি ঠিক করে দিতে চেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার ছোট্ট পরিবার। এত টাকা বিল দেখে আমার ঘুম নষ্ট হয়ে যায়। তারপর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন বাড়িতে এসে বিল সংশোধনের আশ্বাস দেন।
এলাকাবাসী জানান, পল্লী বিদ্যুতের বিলের এমন সমস্যা নতুন নয়। অনেক সময় মিটার রিডাররা বাড়িতে না এসেও ইচ্ছে মতো রিডিং বসিয়ে দেন। এছাড়া অনেক গ্রাহক পড়ালেখা জানেন না, তাই মিটারের রিডিং বোঝেন না। তারা পল্লী বিদ্যুতের মাধ্যমে প্রতারিত হন। বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের আরও সচেতন হওয়া উচিত।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (অর্থ) মো. রিপন বিশ্বাস বলেন, কম্পিউটারের সফটওয়্যারের সমস্যার কারণে তাইজুল ইসলামের বিল বেশি এসেছে। আমরা বিলটি সংশোধন করে ১৬২ টাকার বিল গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।