চীনের সাথে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে সহযোগিতা বাড়ছে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, চীনের সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা দিন দিন বাড়ছে। স্বতস্ফূর্ত সহযোগিতার মাধমে চীনের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হচ্ছে।
রোববার চীনা বিনিয়োগ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
১৪ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দু’দেশের মধ্যে ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি   খাতে চারটি চুক্তি এবং একটি সমঝোতা সই হয়েছে। তাছাড়া চট্টগ্রামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের একটি ১৩২০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়।
পায়রায় ১৩২০ মেয়াওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে নর্থ ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির সাথে এক দশমিক ৯৮৪ বিলিয়ন ডলার, ঢাকা শহরে মানসম্মত ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণের লক্ষে স্ক্যাডা সেন্টারসহ বিদ্যুতের লাইন মাটির নিচে নিয়ে বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন করতে ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডিপিডিসি) সাথে এক দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, নির্ভরযোগ্য ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালনের লক্ষে সঞ্চালন অবকাঠামো নির্মাণ সম্প্রসারণ, ক্ষমতাবর্ধন ও সংস্কার করতে পিজিসিবির সাথে এক দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার, ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন প্রকল্পে বিপিসি‘র সাথে দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করা হয়। এসপিএম প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এছাড়া জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করতে চীনের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়। বেসরকারিভাবে চট্টগ্রামে ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ উদ্বোধন করা হয়।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেনছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে চীনের এই সহযোগিতা দক্ষিণ এশিয়ায় বড় পরিসরে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করবে। বাংলাদেশে এ খাতে বিনিয়াগ করার বিশাল সুযোগ আছে। সকল বিনিয়োগ উৎসাহিত করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।