ছয় উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ
দেশের ছয়টি উপজেলার শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ–সংযোগের আওতায় এসেছে। আগামী শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলার বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
উপজেলা ছয়টি হচ্ছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, নারায়ণগঞ্জের বন্দর, কুমিল্লার আদর্শ সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট, নরসিংদীর পলাশ ও চট্টগ্রামের বোয়ালখালী। ছয় উপজেলার মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৫০ জন গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় এসেছে। এতে ব্যয় করা হয়েছে ৫৩৫ কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন,
সরকার ‘২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ’ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করছে। এই বাস্তবায়ন কার্যক্রমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হচ্ছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি)। গ্রামাঞ্চলের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া তাদের দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে আরইবি প্রতি মাসে প্রায় সাড়ে তিন লাখ নতুন গ্রাহককে সংযোগ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, এই ছয় উপজেলায় গ্রাহক সংখ্যঅ ২ লাখ আটত্রিশ হাজার ১৫০। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৫৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী জানান, আরইবি ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৬৫টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়িত করবে। এরমধ্যে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ২৮টি, ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে ৭৫টি, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৬৯টি, ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে ১১১টি, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ১৭৬টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ দেয়া হবে।
ছয় উপজেলার মধ্যে আরইবির পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গোপালগঞ্জের অধীনে টুঙ্গীপাড়ায় মোট ৪৫০ কি.মি লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৭০ কোটি টাকা। এ উপজেলার গ্রাহক সংখ্যা ২২ হাজার ৮০০। নারায়নগঞ্জ-১ এর অধীনে বন্দর এলাকায় ৬৫৩ কি.মি লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। এ অঞ্চলে গ্রাহক সংখ্যা ৭৩ হাজার ৭০০। নরসিংদী-১ এর অধীনে পলাশ এলাকায় ৮৩৩ কি.মি. লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ১২৫ কোটি টাকা। এখানে গ্রাহক সংখ্যা ৪৬ হাজার ৯০০। চট্টগ্রাম-১ এর অধীনে বোয়ালখালীতে ৭১২ কি.মি লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ১১০ কোটি টাকা। বোয়ালখালীর গ্রাহক সংখ্যঅ ৪৯ হাজার ৫০০। কুমিল্লা-২ এর অধীনে আদর্শ সদরে মোট ৩৭২ কি.মি বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৫৫ কোটি টাকা। এই এলাকার গ্রাহক সংখ্যা ২০ হাজার ৯০০ এবং চাপাইনবাবগঞ্জের অধীন ভোলাহাটে ৫০৭ কি.মি লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা। ভোলাহাটে প২৪ হাজার ৮৫০ জন গ্রাহক আছে।