বিরোধিতা সত্ত্বেও জাপানে দ্বিতীয় পরমাণু চুল্লি চালু

জাপান বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় পরমাণু চুল্লি পুনরায় চালু করেছে। ২০১১ সালে ফুকুশিমা সংকটের পর এটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সাধারণ মানুষের ব্যাপক বিরোধিতা সত্ত্বেও এটি পুনরায় চালু করা হল।
এর মাধ্যমে সরকার আবারও এই সাশ্রয়ী জ্বালানী উৎসের দিকে ফিরে গেলো।
ইউটিলিটি কিউশু ইলেক্ট্রিক পাওয়ার জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায় (গ্রিনিচ মান সময় ০১৩০) তারা সেনদাইয়ে দুই নম্বর চুল্লিটি পুনরায় চালু করে।
এটি জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার (৬২০মাইল) দূরে অবস্থিত।
একই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক নম্বর চুল্লিটি আগস্ট মাসে পুনরায় চালু করা হয়। এর মাধ্যমে দুই বছর পর পুনরায় পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়।
নভেম্বর মাসে নতুনভাবে শুরু করা এই চুল্লিটি থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হবে।
চার বছরের বেশি সময় পর চুল্লিগুলো পুনরায় চালু করা হচ্ছে। চার বছর আগে জাপানে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্প ও এর প্রভাবে সৃষ্ট সুনামির আঘাতে ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শীতলকরণ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যায় এবং এর ফলে চুল্লিটি গলে যায়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ৫০টি চুল্লি বন্ধ করে দেয়া হয় এবং ভবিষ্যতে পরমাণু জ্বালানী ব্যবহার করা হবে কিনা সে ব্যাপারে মতবিরোধ দেখা দেয়।
প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে পুনরায় পরমাণু বিদ্যুৎ চালু করার পক্ষে অবস্থান নেন।
তিনি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশটিতে পরমাণু জ্বালানীর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
কিন্তু ফুকুসিমা সংকটের পর বিরাট এলাকায় তেজস্ত্রিয়তা ছড়িয়ে পরার পর হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র যেতে বাধ্য হওয়ায় জনগণের বিবাট অংশ পরমাণু জ্বালানীর ব্যাপক বিরোধিতা করে। এই ঘটনায় যারা গৃহহীন হয়েছিল তাদের অনেকে আর কখনোই তাদের বাড়িতে ফিরে নাও যেতে পারে।
১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের পর এটাই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ পরমাণু দুর্ঘটনা।