জ্বালানিখাতে একের পর এক বিপত্তি: সংকট পিছু ছাড়ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গতকয়েক মাস একের পর এক বিপত্তি জ্বালানি খাতে লেগেই আছে। এতে পিছু ছাড়ছে না সংকট।
প্রথমে ভাসমান এলএনজি কার্গোর তার ছিড়ে গেল। তারপর বিবিয়ানা রক্ষণাবেক্ষণ। তারপর আবারও বিবিয়ানার কূপ থেকে বালি ওঠা শুরু। এরআগেই রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়তে থাকায় ভোগান্তি শুরু হয়েছে।
টানা এই বিপত্তিতে শিল্পে বিপর্যয় নেমে এসেছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, ইতিমধ্যে উৎপাদন কমেছে প্রায় ৩০ ভাগ। এই অবস্থা চলতে থাকলে উৎপাদন আরও কমবে। জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যদিও এডিবি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি হবে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। আর পরের বছর ৭ শতাংশ।
শিল্প মালিকরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস না পেয়ে উৎপাদন কমেছে। টেক্সটাইল, স্পিনিং, নিটিং, গার্মেন্টস, স্টিলসহ বিভিন্ন শিল্পে উৎপাদন কমেছে।
দেশে বর্তমানে দৈনিক ৪৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা। সরবরাহ করা হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭৫ কোটি ঘনফুট। কয়েকবছর দৈনিক ৪১০ থেকে ৪৫০ কোটি ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ৩১০ থেকে ৩৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছিল। এখন ২৬১ কোটি ঘনফুটে নেমে এসেছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন, সার উৎপাদন, আবাসিক, বাণিজ্য, শিল্প সবখাতেই গ্যাস সরবরাহ কমানো হয়েছে। এতে সবখাতেই সংকট চলছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান এনার্জি বাংলাকে বলেন, রমজানকে সামনে রেখে এলএনজি আনা হচ্ছে। ১০ই এপ্রিল নাগাদ এই এলএনজি পাইপ লাইনে সরবরাহ করা হবে। তখন সংকট কেটে যাবে। এছাড়া দেশীয় গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এরআগে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে গ্যাস সংকটের জন্য দুঃখপ্রকাশ করা হয়।
গরম আর রমজানে গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে। আর এই বাড়তি চাহিদার সময় সংকট। এতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। একই সাথে শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ ঘাটতি।