টেকনাফে ২০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ
টেকনাফের মধ্যনীলায় ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করা হচ্ছে। এখানে প্রতি ই্উনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে ১৭ সেন্ট বা ১৩ টাকা ৬০ পয়সা। এতে বিনিয়োগ হবে ৩০ কোটি ডলার বা দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
সোমবার সৌর কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সাউদার্ন সোলার পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে। বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তি হলে এই চুক্তি সই হয়। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য পিজিসিবির সঙ্গেও চুক্তি হয়েছে।
সৌর কেন্দ্র স্থাপন করবে চায়নার কোম্পানি জিনকো সোলার। বিদ্যূৎ উৎপাদন না হলে বিলও পাবেনা এই ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কিনবে পিডিবি। অর্থাৎ স্থায়ী কোন খরচ নেই। চুক্তি অনুযায়ি, ১৮ মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। এতে ৮০০ থেকে এক হাজার একর জমির প্রয়োজন হবে।
পিডিবির পক্ষে কোম্পানি সচিব মিনা মাসুদ উজ্জামান এবং সাউদার্ন সোলারের পক্ষে সাউথ ইস্ট এশিয়া. গান এডিসনের সিইও ইসমাইল এরাইস গুরেরো চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পিডিবির চেয়ারমান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, সান এডিসন এনার্জির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রউফ বক্তব্য দেন।
নসরুল হামিদ বলেন, নবায়নযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে সরকার উৎসাহিত করে। ব্যয় সাপেক্ষ হলেও পরিবেশবন্ধব হওয়ায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো আমাদের পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে। বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করণের জন্য আর্থিক প্রনোদনাও দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে উৎসাহিত হয়ে প্রায় ৪৩৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। গাইবান্ধা ও মিরেরসরাইতে দুটি সোলার পার্ক কারার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তাতে সৌর বিদ্যুতের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। ইতোমধ্যে ৩০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে-যা অচিরের উৎপাদনে আসবে বলে আশা করা যাই।
বিদ্যুৎ সচিব বলেন, বাংলাদেশে জ্বালানির প্রয়োজন। জ্বালানি চাহিদা পুরণে সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে। গ্রিড ভিত্তিক সৌর বিদ্যুতের ক্ষেত্রে অনেক প্রস্তাব আসছে। আজকে একটি চুক্তি হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো চুক্তি হবে। সৌর বিদ্যুতের বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু করা জরুরি।