এনার্জি এন্ড পাওয়ারের সেমিনার: টেকসই জ্বালানি নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ
টেকসই জ্বালানি নিশ্চিত করা বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। যে কোন উন্নয়নশীল দেশের জন্য টেকসই জ্বালানি নিশ্চিত করতে অর্থায়ন ও কারিগরি দিক বড় চ্যালেঞ্জের।
’ভবিষ্যতে টেকসই জ্বালানি’ শীর্ষক এক আলোচনায় বক্তারা একথা বলেন। বৃহষ্পতিবার পাক্ষিক সাময়িকী এনার্জি এন্ড পাওয়ার রাজধানীর বিদ্যুৎভবনে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণলয় ব্ষিয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম। মূল আলোচনায় অংশ নেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ম তামিম, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী খন্দকার এ সালেক সুফিসহ অন্যরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এনার্জি এন্ড পাওয়ার এর সম্পাদক মোল্লাহ্ আমজাদ হোসেন।
তাজুল ইসলাম তার বক্তৃতায় বলেন, এখনও মানসম্মত বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। এটা পেতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। চেকসই জ্বালানি নিশ্চিত করতে দক্ষ জনবল লাগবে। দক্ষ জনবল তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠান লাগবে।
আলোচনায় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ম তামিম বলেন, জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার করতে পারলে ৩০ শতাংশ সাশ্রয় করা সম্ভব। দক্ষতা বাড়াতে উৎপাদন ও ব্যবহার উভয় ক্ষেত্রে উন্নয়ন করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনও অনেক মানুষ আছে যারা প্রচলিত এই জ্বালানির ব্যবহার থেকে বঞ্চিত। সকলের জন্য জ্বালানি নিশ্চিত করতে হবে। জ্বালানির জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ম তামিম বলেন, জ্বালানি ব্যবহারে দক্ষ হলে খরচও কমানো সম্ভব। কমপক্ষে ২০ শতাংশ দাম কমানো সম্ভব। আর এরজন্য অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার বা অপচয় কমাতে হবে, প্রকৃতিক আলো বা জ্বালানি ব্যবহার বাড়াতে হবে, সয়ংক্রিয় যন্ত্রাংশের ব্যবহার এবং সবমিলে জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাধারন মানুষের সচেতন করে তুলতে হবে।
মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে টেকসই জ্বালানি নিশ্চিত করা যাবে না। টেকসই জ্বালানি নিশ্চিত করা বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারি বেসরকারি উভয়খাতকে এ উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে।
সালেক সুফি তার বক্তৃতায় বলেন, টেকসই জ্বালানি নিশ্চিত করতে দক্ষ জনবল দরকার। আর তার জন্য দরকার প্রশিক্ষণ। কিন্তু যথাযথ ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে না। শুধু প্রকৌশলী বা কারিগরি প্রশিক্ষণ নয় সাথে জ্বালানির হিসাব রক্ষক, আইনজীবি, প্রশাসনিক এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি করার জন্য দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ দরকার।