ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সকাল থেকেই রাজধানী তপ্ত হয়ে আছে। ঘর থেকে বের হয়েই মনে হচ্ছে মরুভূমির মতো গরম হয়ে গেছে প্রিয় শহর ঢাকা। গরমের কারণে দুপুরের পর রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। আরো প্রায় এক সপ্তাহ এই অনুভূতি নিয়েই থাকতে হতে পারে রাজধানীবাসীর। ৩ মে থেকে ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
সোমবার ঢাকায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা না থাকায় এই তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছিল ৪১ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। এর আগে শনিবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ছিল ৩৫ দশমিক ৫, বৃহস্পতি ও বুধবার তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৯, গত সপ্তাহের শনিবার তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ফরিদপুর, রাজশাহী, মংলা, সাতক্ষীরা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর, নোয়াখালী ও শ্রীমঙ্গল অঞ্চলসহ রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বাকি এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
তবে লঘুচাপের প্রভাবে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ সহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রংপুরে ২২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদফতরের এক কর্মকর্তা জানান, চলতি সপ্তাহে গরম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং বাড়তে পারে তাপমাত্রা। যদি ভারি বৃষ্টি হয় তাহলে ১ মে থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে।
এদিকে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট আকু ওয়েদার জানায়, ঢাকায় আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত টানা গরম থাকবে। এ সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ১ মে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। এরপর ৩ মে মুষলধারে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সঙ্গে কালবৈশাখীও হতে পারে।