তেল বিক্রি করে লাভ হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকারও বেশি

বিশ্ব বাজারে মূল্য হ্রাস পাওয়ায় গত এবং চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ১১ হাজার ৭৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা জ্বালানি তেল বিক্রি থেকে সাশ্রয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এর মধ্যে ঘাটতি পূরণের জন্য ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৫ হাজার ২৬৮ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং চলতি অর্থ বছরের গত জানুয়ারি
পর্যন্ত সাত মাসে ৫ হাজার ৮১০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে কাজী ফিরোজ রশীদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, আয়কৃত টাকার মধ্যে ৭ হাজার ১০৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বিভিন্ন প্রকারের দেনা পরিশোধ করা হয়েছে। এছাড়া পেট্রোবাংলাকে ৪৯৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা পরিশোধের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। এ অর্থ বাদে অবশিষ্ট অর্থ বিপিসির ব্যাংক হিসাবে স্থিতি হিসাবে রয়েছে। উল্লিখিত পরিমাণ ঘাটতি সমন্বয়ের পরেও সরকার প্রদত্ত ঋণ ২৬ হাজার ৩৪৯ কোটি ৮১ লাখ টাকার দেনা অবশিষ্ট রয়েছে।
২৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে: নূরুল ইসলাম মিলনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে এ যাবত আবিষ্কৃত ২৬টি গ্যাস ফিল্ডে গ্যাস মজুদের পরিমাণ ২৭ দশমিক ১২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। তিনি জানান, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৪৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা হয়েছে। ফলে উত্তোলনযোগ্য অবশিষ্ট নীট গ্যাস মজুদের পরিমাণ মাত্র ১৩ দশমিক ৬৪ ঘনফুট।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণের সময় গ্যাসের গড় উৎপাদন ছিল দৈনিক ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে দৈনিক ২ হাজার ৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুটে দাঁড়িয়েছে। চাহিদা অধিকহারে বাড়তে থাকায় সরবরাহের তুলনায় ঘাটতি এখনো প্রায় দৈনিক ৫শ’ মিলিয়ন ঘনফুট।