দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুতের দাম ২.২৮ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাাঞ্চলের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের জন্য দুই দশমিক ২৮ শতাংশ দাম বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করে বিইআরসি। যদিও সংশ্লিষ্ঠ বিতরণ কোম্পনি ওজোপাডিকো দাবি করেছে ২১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
বুধবার কাওরান বাজার টিসিবি মিলনায়তনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ওয়ে¯দ্ব জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) এর প্রস্তাবের উপর শুনানী করে। শুনানীতে বিইআরসি কারিগরি কমিটি প্রস্তাবের উপর পর্যালোচনা শেষে এই দাম বাড়ানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে।
তবে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্বচ্ছ হলে, পরিকল্পিতভাবে খরচ করলে, ব্যবস্থানা উন্নত করলে, কারিগরি লোকসান কমিয়ে আনলে কোম্পানির লোকসান থাকবে না। তখন বিদ্যুতের দামও বাড়ানো লাগবে না।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ করে ওজোপাডিকো।  আট শ্রেণীর গ্রাহকের মধ্যে কৃষিতে সব থেকে বেশি দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ওজোপাডিকো। এই খাতে ৬৯ দশমিক ৩২ শতাংশ বাড়াতে চান তারা। বলা হয়, গ্রাহক পর্যায়ে না বাড়িয়ে শুধু পাইকারি বাড়ালে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩০০ কোটি টাকা লোকসান হবে। বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রির জন্য গত অর্থবছর প্রায় ৪০  কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
এদিকে বুধবার সকালে একই স্থানে সঞ্চালনের হুইলিং চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাবের উপর শুনানী হয়েছে। শুনানীতে বিইআরসি কারিগরি কমিটি এক দশমিক ৫৩ শতাংশ চার্জ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মত দিয়েছে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ পাঁচটি বিতরণ কোম্পানির জন্য ১৩২ কেভি লাইনে প্রতি ইউনিটে ৩৯ পয়সা এবং ৩৩ কেভি লাইনে ৩৯ পয়সা করে বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। দাম বাড়ানো না হলে পিজিসিবি’র ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৮১৮ কোটি টাকা লোকসান হবে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান এ আর খানের সভাপতিত্বে কমিশনের সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন, মো. মাকসুদুল হক ও রহমান মুরশেদ গণশুনানী গ্রহন করেন।
বিইআরসি’র চেয়ারম্যান বলেন, এ খাতে এতো ব্যয় গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যয় কমাতে হবে। ভবিষ্যতে কোন প্রকল্প গ্রহণের আগে বিইআরসি’র মতামত নিতে হবে। তিনি বলেন, সব কিছু বিবেচনা, বিশ্লেষণ করেই নতুন দাম নির্ধারণে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।