দশ মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলএনজি কিনছে না চীন

চীন দশ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করছে না।

শিপিং তথ্যের বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৮ই এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিনান্সিয়াল টাইমস এ খবর জানিয়েছে।

 মার্কিন হাইড্রোকার্বনের ওপর ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে চীন। কেননা বেশিরভাগ দেশের ওপর শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হলেও চীনকে এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দেশটির মোট ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের সম্মুখীন হবে।

এর বিপরীতে বেইজিং মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ উচ্চ-প্রযুক্তি খনিজ পদার্থের রপ্তানি সীমিত করেছে।

চীনাভিত্তিক জ্বালানি ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি থেকে টেক্সাসের কর্পাস ক্রিস্টি থেকে ৬৯ হাজার টনের একটি এলএনজি ট্যাঙ্কার ফুজিয়ান প্রদেশে পৌঁছানোর পর থেকে চীন আর কোনো এলএনজি নেয়নি, যা জ্বালানি বাণিজ্যে তীব্র ভাঙনের ইঙ্গিত দেয়।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অন গ্লোবাল এনার্জি পলিসির গ্যাস বিশেষজ্ঞ অ্যান-সোফি করবো বলেন, এর দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি হবে। আমি মনে করি না, চীনা এলএনজি আমদানিকারকরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কখনো কোনো নতুন এলএনজি চুক্তি করবে।

এই সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়ায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, বেইজিং রাশিয়া থেকে এলএনজি আমদানি বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত।

তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে চীন পর্যন্ত প্রস্তাবিত ‘পাওয়ার অফ সাইবেরিয়া-২’ গ্যাস পাইপলাইন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে রুটটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

অস্ট্রেলিয়া এবং কাতারের পরে রাশিয়া চীনের তৃতীয় বৃহত্তম এলএনজি সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে। গত বছর চীন এশিয়ায় রাশিয়ান এলএনজির শীর্ষ ক্রেতা ছিল।