দুই পদ্ধতিতে জ্বালানি তেল আমদানি

এখন থেকে দুই পদ্ধতিতে জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। একটি হচ্ছে, জি টু জি। অন্যটি হচ্ছে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে। এতদিন শুধুমাত্র জি টু জি পদ্ধতিতে জ্বালানি তেল আমদানি করা হতো। তাও আবার মেয়াদি চুক্তির আওতায়। কিন্তু সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে বিষয়টি অনুমোদন করেছেন তা হলো, ২০১৬ সাল থেকে মোট চাহিদার ৫০ শতাংশ জ্বালানি তেল উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে করতে হবে। বাকি ৫০ শতাংশ জি-টু জি পদ্ধতি হবে। যা কিনা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে হবে। আজ অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে প্রস্তাব উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে ।
গত ২৩ ডিসেম্বর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে জ্বালানি তেল আমদানির ব্যাপারে এ নিয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে ৫০ শতাংশ জি টু জি ও বাকি ৫০ শতাংশ উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে জ্বালানি তেল আমদানির ব্যাপারে সুপারিশ করা হলে তা প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেন। এ ছাড়াও নেগোসিয়েশনের সভা সিঙ্গাপুরের পরিবর্তে ঢাকায় করার সুপারিশ করেছে।
এদিকে আজকের বৈঠকে ১১টি উৎস থেকে জি টু জি ভিত্তিতে জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব করা হচ্ছে। এর মধ্যে-কেপিসি থেকে ৫১ হাজার মেট্রিক টন গ্যাস অয়েল ও ১০৫ মেঃটন জেট এ, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএএল থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার মেঃটন, জেট এ ৫৫ হাজার মেঃটন, আরব আমিরাতের ইনক থেকে ৬০ হাজার মেঃটন গ্যাস অয়েল, চীনের পেট্রো চায়নার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার মেঃটন, ভিয়েতনামের পেট্রোলিমেক্স থেকে ৩০ হাজার মেঃটন গ্যাস অয়েল ও ২০ হাজার মেঃটন ফার্নেস অয়েল, ফিলিপাইনের পিএনওসি’ও কাছ থেকে ৯০ হাজার মেঃটন গ্যাস অয়েল, চীনের ইউনিপেক থেকে ৯০ হাজার মেঃটন গ্যাস অয়েল, চীনের জেনহুয়ার কাছ থেকে ৩০ হাজার মেঃটন গ্যাস অয়েল, থাইল্যান্ডের পিটিটির কাছ থেকে ৩০ হাজার মেঃটন গ্যাস অয়েল, ব্রুনাইয়ের পিবি ট্রেডিংএর কাছ থেকে ৬০ হাজার মেঃটন গ্যাস অয়েল।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের জন্য জ্বালানি তেল আমদানি ও প্রিমিয়াম নির্ধারণের জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, অর্থ বিভাগ ও বিপিসির একটি প্রতিনিধি দল নভেম্বর মাসে সিঙ্গাপুর সফর করেন। সে সময় তারা ১৪টি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জি টু জি ভিত্তিতে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়টি আলোচনা করেন। একই সঙ্গে উভয় পক্ষ সম্মত হয়। আর এই ১৪টি দেশের মধ্যে রয়েছে- কুয়েত, মালয়েশিয়া, আরব আমিরাত, চীন, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই, তুরস্ক, ওমান, মালদ্বীপ ও থাইল্যান্ড। এ সময় তারা মোট ২৮ লাখ ১৭ হাজার জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়টি চূড়ান্ত করে। এর মধ্যে গ্যাস অয়েল ২৪ লাখ ৬০ হাজার মেঃটন, জেট এ ৩ লাখ ২০ হাজার মেঃটন, কেরোসিন ৫ হাজার মেঃটন, ফার্নেস অয়েল ২০ হাজার মেঃটন ও মোগ্যাস ১২ হাজার মেঃটন।