পরমানু শক্তিধর দেশের স্বীকৃতির পথে ভারত
পরমানু শক্তির অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও ভারতকে আন্তর্জাতিক শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে এক আসনে বসার মর্যাদা দেয়া হয়নি। সেই বাধা দূর করতে ভারতভিত্তিক পরমাণু রক্ষাকবচের অতিরিক্ত খসড়া চুক্তিটি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদি। বৃহস্পতিবার ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। ভারতের পরমাণু নীতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নতুন মোদি সরকার আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার সঙ্গে ভারতভিত্তিক পরমাণু রক্ষাকবচ চুক্তির অন্তর্গত অতিরিক্ত প্রটোকল দ্রুততার সঙ্গে অনুমোদনের কথা ঘোষণা করেছে। এটা না করায় পরমাণু শক্তিধর দেশ হয়েও অন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তিধর দেশশুলোর সঙ্গে একই বন্ধনীভুক্ত হতে পারেনি ভারত। পরমাণু উপকরণ সরবরাহকারী ৪৫টি দেশ-গোষ্ঠীর এক বৈঠকের আগে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএর সঙ্গে ভারতভিত্তিক পরমাণু রক্ষাকবচ সংক্রান্ত অতিরিক্ত প্রটোকলটি অনুমোদন করে মোদি সরকার সময়োচিত কাজ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে এটাও ঠিক যে, এর পুরো কৃতিত্ব মোদি সরকারের একার নয়। সিংহভাগ কৃতিত্ব দাবি করতে পারে পূর্বতন মনমোহন সিং সরকার। এর ভূমিগত যাবতীয় কাজ করে গেছে মনমোহন সিং সরকার। ভারত-মার্কিন বেসামরিক চুক্তি সই হওয়া থেকে তার খসড়া ও নির্ভরযোগ্য নথিপত্র তৈরি সবকিছুই করে গেছেন মনমোহন সিং সরকার। শুধু ফলের অপেক্ষা ছিল।