পলিথিন নিষিদ্ধে সোচ্চার পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো

পলিথিন নিষিদ্ধে আবারো সোচ্চার হচ্ছেন পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। শনিবার সকালে মালিবাগ বাজারের সামনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ) ও পল্লীমা গ্রীণ পলিথিন নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।
পবার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও নাসফের সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়নার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পবার সমন্বয়কারী আতিক মোরশেদ, পীসের মহাসচিব ইফমা হোসাইন, পল্লীমা গ্রীণের সদস্য সচিব তারিক হাসান, নাসফের উপদেষ্টা আরিফুল ইসলাম, সম্পাদক সেলিনা বেগম, আইন ও সালিস কেন্দ্রের শিক্ষিকা পদ্মাবতী দেবী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির ভাইস-চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় তারা পলিথিন নিষিদ্ধকরণ আইন বাস্তবায়ন করা, পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করা এবং পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা। বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ, কাগজের ব্যাগ ও ঠোংগা ইত্যাদি সহজলভ্য করা এবং এগুলো ব্যবহারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা। পলিথিন শপিং ব্যাগ তৈরীর কাঁচামালের উপর উচ্চ হারে করারোপ করার দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “পলিথিন নিষিদ্ধ আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে, পাটের ব্যবহার বাড়বে, মাঠ পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাটের ব্যাগ আমেরিকায় রফতানির উদ্যোগ নেয়া হলে রফতানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষক পাট চাষে উৎসাহিত হবে এবং পাটের ন্যায্য দাম পাবে। বাংলাদেশ সোনালী আঁশ পাটের ঐতিহ্য ফিরে পাবে। বাংলাদেশে পলিথিন ও পলিথিনজাত দ্রব্যসামগ্রীর ব্যাপক ও অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতি রক্ষায় পলিথিন নিষিদ্ধের আইন দ্রুত কার্যকর করতে হবে।
পলিথিনে মোড়ানো গরম খাবার গ্রহণ করলে ক্যান্সার ও চর্মরোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে বলেও জানান তারা।
বক্তারা আরো বলেন, “বিশ্বব্যাপী বছরে প্রায় ৫০০(পাঁচ শত) বিলিয়ন পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে, যা প্রতি মিনিটে এক মিলিয়ন । ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সমুদ্র সৈকত, লেক এবং নদীতে বছরে আট বিলিয়নেরও বেশী পলিথিন ব্যাগ জমা হচ্ছে। আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্য ও শহরের গ্রোসারী মার্কেট এবং শপিং মলে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে সেখানে বর্তমানে প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পাটের ব্যাগের চাহিদা রয়েছে, যা আগামী ৫ বছরে ৫০ গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এ চাহিদার শতকরা মাত্র তিন থেকে পাঁচ ভাগ রফতানি করছে।”