পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গণছুটি নির্বাচন বানচাল করতে?

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা (বৃহষ্পতিবার, ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৫):
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গণছুটি কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা।
বৃহষ্পতিবার সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান গোয়েন্দা সংস্থার এই তথ্য উল্লেখ করে বলেন, তাদের দাবির প্রতি সরকার সহনশীল। তবে কাজে যোগ না দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন থানায় তিনটি সাধারণ ডায়রি করে পুলিশকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনের পেছনে জাতীয় নির্বাচন বিঘ্ন ঘটাতে চায় এমন পক্ষের যোগসাজশ আছে বলেও অভিযোগ করেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনের পেছনে জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকারীদের ইন্ধনের গোয়েন্দা তথ্য আছে। আন্দোলনের নামে গণছুটিতে যাওয়া কর্মকর্তা কর্মচারিদের অবিলম্বে কাজে যোগ দেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সহনশীলতাকে যদি দুর্বলতা ভাবা হয় তবে তা ভুল হবে।
উপদেষ্টা বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চালাতে সরকারের বিকল্প উপায় আছে। কাজে যোগ না দিলে তাদের সাথে কোন আলোচনা হবে না।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সমস্যা নিয়ে সরকার উদাসীন নয় দাবি করে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, যৌক্তিক দাবিগুলো সমাধানে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ৮ শতাধিক বদলি আদেশ পরিবর্তন করা হয়েছে। কর্মকর্তা কর্মচারিদের জন্য নতুন করে চাকরি বিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনিয়ম দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে সাবেক সচিব আজিজ হাসানকে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গণছুটিতে থাকা কর্মকর্তাকর্তচারিরা কাজে যোগ না দিলে বেসরকারিভাবে টেকনিশিয়ান নেওয়ার সিদ্দান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ স্থানীয় পর্যায়ে যে টেকনিশিয়ানরা আছেন তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রয়োজনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা অন্য কোম্পানি থেকে কর্মকর্তা কর্মচারি নিয়ে আরইবিতে কাজ পরিচালনা করা হবে।
সারাদেশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন দাবিতে স্বেচ্ছায় গণছুটি কর্মসূচি পালন করছে। এতে ঠিকভাবে সেবা পাচ্ছে না বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। চলমান কর্মসূচি থামাতে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও গণছুটি কর্মসূচি থেকে ফেরেনি কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, কয়েকটি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ায় দেশজুড়ে যে লোডশেডিং হচ্ছে তা সাময়িক। দুদিন আগে সে সংকট ছিল তা এখন কমেছে। আরও কমে যাবে।
গ্যাস সংকট মেটাতে বেশি করে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এবছর ১০৮ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হয়েছে। গতবছর করা হয়েছিল ৮৪ কার্গো। উচ্চ দামে এলএনজি কেনার পরও গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে না বলে জানান উপদেষ্টা।