পারমানবিক বিদ্যুতের ঋণ চুক্তি সই

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সাথে অর্থ ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে বাংলাদেশ এই কেন্দ্র করতে এক হাজার ১৩৮ কোটি ডলার ঋণ নেয়া হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ ঋণ।
আজ মঙ্গলবার রাশিয়ার মস্কোতে ঋণ চুক্তি হয়েছে।
চুক্তির পর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান টেলিফোনে চ্যানেল আইকে বলেন, এই চুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এটি একটি ঐতিহাসিক চুক্তি হল। বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে আমরা পারমানবিক বিদ্যুৎ ব্যবহার শুরু করব আশা করি।
বাংলাদেশের পক্ষে ইআরডি সচিব মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ এবং রাশিয়ার পক্ষে উপ অর্থমন্ত্রী স্টরকচ সের্গেই চুক্তিতে সই করেন।
রূপপুরে দুটো বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রতিটি এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার। অর্থাৎ দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
প্রথম ইউনিট চালু হবে ২০২১ সালে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে। আর পরের ইউনিটটি ২০২৩ সালে।

rooppur - Rosatom
ঋণ নেয়ার ১০ বছর পর সুদ শুরু হবে। মূল ঋণের প্রথম কিস্তি ২০২৭ সালের ১৫ই মার্চ পাওয়া যাবে। প্রতি বছর দুই কিস্তিতে শোধ করতে হবে। ঋণের সুদ হবে লাইবরের সাথে এক দশমিক ৭৫ শতাংশ করে, তবে বছরে চার শতাংশের বেশি নয়।
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে খরচ হবে এক হাজার ২৬৫ কোটি ডলার বা এক লাখ কোটি টাকারও বেশি। এরমধ্যে এক হাজার ১৩৮ দশমিক পাঁচ কোটি ডলার অর্থাৎ ৯০ শতাংশ ঋণ নেয়া হচ্ছে রাশিয়ার কাছ থেকে।
এই কেন্দ্রে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে তিন টাকা।
১৯৬১ সালে রূপপুরে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১১ সালের নভেম্বরে রাশিয়ার সাথে সহযোগিতা চুক্তি সই হয়। ২০১৩ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রর কাজের উদ্বোধন করেন।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, ইআরডি সচিব মেজবাহ উদ্দীন ও অতিরিক্ত সচিব আবুল মনসুর মো. ফায়জুল্লাহ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।