পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা আনা হবে ইন্দোনেশিয়া থেকে। এজন্য
সরবরাহ ও পরিবহনের চুক্তি হয়েছে।
সোমবার রাতে ঢাকার এক হোটেলে আলাদা আলাদ দুটো চুক্তি হয়।
কয়লা সরবরাহর জন্য ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি পিটি বায়ান রিসোর্স টিবিকে এর সাথে চুক্তি হয়। আর কয়লা পরিবহনের জন্য চুক্তি হয়েছে ওল্ডেনড্রফ কেরিয়ারস জিএমবিএইচ জার্মানির সাথে ।
কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানি সংক্রান্ত দেশের এটা প্রথম চুক্তি।
আমদানি করা কয়লা দিয়ে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র চলবে। এখানে জ্বালানি হিসেবে সাব-বিটুমিনাস কয়লা ব্যবহার করা হবে, যার ক্যালরিফিক ভ্যালু ৪৭০০-৫৫০০ কিলোক্যাল। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালাতে বছরে প্রায় ৪০ লাখ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে। প্রাথমিকভাবে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানি করা হবে।
বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড এর পক্ষে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির সচিব দীপক কুমার ঢালী ও ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি পিটি বায়ান রিসোর্স টিবিকে এর চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান পরনোমো ইউসগিয়ানটুরো সই করেন।
নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি), চায়না এর যৌথ উদোগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড গঠিত ও নিবন্ধিত হয়। পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটির ১ম ইউনিট ডিসেম্বর,২০১৯ এবং ২ ইউনিট জুন, ২০২০ এর মধ্যে উৎপাদনে আসার কথা।
এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে দেশের প্রথম আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। একই স্থানে একই প্রযক্তির পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর কাজ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। কোম্পানিটি একই স্থানে ৫০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেন, সরকার পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন করছে। উন্নতর প্রযুক্তির জন্য কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাছাড়া বাংলাদেশে কার্বন নিঃসরণের হার খুবই কম। কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে সাশ্রয়ি বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রীনা পি. সোয়েমারনু ও বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এ.এম. খোরশেদুল আলম বক্তব্য রাখেন।