প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডাররা
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের চাকরি থেকে ছাঁটাই বন্ধ ও পুন:নিয়োগ পদ্ধতি চালু করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার ঐক্য পরিষদের নেতারা।
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জ মিলনায়তনে ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সšে§লনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন সংগঠনটির নেতারা। সংবাদ সšে§লনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার মন্ডল। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি আমজাদ হোসেন, সহসভাপতি কেএম মাসুম বিল্লাহ, আমিনুল ইসলাম, কামাল হোসেন, কমল দাস, জাহাঙ্গীর আলম, বিকাশ দাস প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে অজয় কুমার মন্ডল জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) নির্বাহী কমিটি ১৫তম সভায় একজন মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারকে ৪ হাজার রিডিং নেয়া ও ৫ হাজার বিল বিতরণের দপ্তর আদেশ জারি করে। যা অমানবিক।
তারা অভিযোগ করেন, অসাধু কর্মকর্তা আরইবির চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এই বাড়তি কাজ তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সব মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারের চুক্তি নবায়ন ও অন্য সমিতিতে অভিজ্ঞতার আলোকে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে নতুনভাবে অনভিজ্ঞ লোক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে আরইবির ৭৮টি সমিতির প্রায় ১০ হাজার ৫০০ লোকের চাকরি চলে যাবার অবস্থা তৈরি হয়েছে। এরইমধ্যে ৩ হাজার জন ছাঁটাই করা হয়েছে। যাদের বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। আরও সাড়ে ৭ হাজার মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার চাকরি হারানোর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। কিন্তু চাকরির নিয়োগ বিধি অনুযায়ী এক সমিতিতে ৯ বছর করে ৫৫ বছর কাজ করতে পারবেন একজন মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার। এ অবস্থায় এক্য পরিষদের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংগঠনের নেতারা বলেন, ৯ বছরের জন্য বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু সরকার নতুন পে-স্কেল ঘোষণার ফলে আমাদের বেতন বেড়ে যাওয়ায় সমিতির লস ও খরচ কমানোর কথা বলে নবায়নযোগ্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হওয়া সত্ত্বেও নবায়ন করা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি গত জুলাই থেকে ছাঁটাই শুরু হয়েছে।
১৫ অক্টোবরের মধ্যে তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে আরইবির প্রধান কার্যালয় ঘেরাওসহ কর্মবিরতি পালন করবে মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জাররা।