ফের ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প

রোববার বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা ৯ মিনিট ৯ সেকেন্ডে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নেপালের কোদারি থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা-ইউএসজিএস জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৭।

বাংলাদেশের প্রায় সব জেলা থেকেই ভূকম্পন অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্তব্যরত পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

তিনি জানান, ঢাকা থেকে এর কেন্দ্রস্থল ছিল ৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।

টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে অনেকেই ভবন ছেড়ে রাস্তায় নেমে এলেও দেশের কোথাও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক সমরেন্দ্র কর্মকার জানান, শনিবারের তীব্র ভূমিকম্পের পর এখন যেসব ভূকম্পন হচ্ছে সেগুলো ‘আফটার শক’ বা পরাঘাত।

“এ ধরনের আফটার শক বড় ভূমিকম্পের পর অন্তত দু’দিন বিভিন্ন সময়ে ঘটে। আফটার শকের তীব্রতা অপেক্ষাকৃত কম থাকে। প্রথম উৎপত্তিস্থলের আশপাশেইআফটার শকের উৎপত্তি হয়ে থাকে।”

আগের দিন শনিবার বেলা ১২টা ১১ মিনিট ২৭ সেকেন্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশ। এর উৎপত্তিস্থল ছিল নেপালের লামজুংয়ের ২৯ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে, মাত্রা ছিল ৭.৮।

ওই ভূমিকম্পে কেবল নেপালেই দুই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি।

বাংলাদেশেও মাটির দেয়ালে চাপা পড়ে, আতঙ্কে হুড়োহুড়িতে এবং ভূমিকম্পের সময় নৌকাডুবে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সমরেন্দ্র কর্মকার বলেন, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ডাউকি ফল্ট থাকায় বাংলাদেশও বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে।
– বিডি নিউজ