ফ্লাইওভারের কাজে বিদ্যুতের তার ক্ষতিগ্রস্ত

মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের কাজ করার সময় মাটির নিচে অবস্থিত বিদ্যুতের তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরকারণে ঐ এলাকার বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমান বন্ধ রাখতে হয়েছে। ফলে ধানমন্ডি, মগবাজার, গুলিস্থানসহ আশপাশের এলাকায় বিদ্যুতের মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং করা হচ্ছে।
ক্যাবল মেরামত হতে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। এজন্য বিশেষ তেল প্রয়োজন হয়। যুক্তরাজ্য থেকে এই বিশেষ তেল আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে তেল এসেছে বলে ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ডিপিডিসি) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বুধবার মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলার সময় ওই এলাকায় ডিপিডিসি’র উলন-ধানমন্ডি ১৩২ কেভি ওয়েল ফিল্ড ভূ-গর্ভস্থ ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ধানমন্ডি গ্রীডের ১৩২/৩৩ কেভি ৩টি গ্রীড ট্রান্সফরমার (প্রতিটি ৫০/৭৫ এমভিএ) এর মধ্যে ১টি ৫০/৭৫ এমভিএ ট্রান্সফরমার বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, সেগুনবাগিচা, গুলিস্তান, রমনা, সিদ্ধেশ্বরী, বেইলী রোড, কাকরাইল এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বুধবার কিছু এলাকায় বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও বৃহস্পতিবার দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যা। এরপর অন্য এলাকা থেকে বিদ্যুৎ এনে লোড শেডিংয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ঠ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হচ্ছে।
ডিপিডিসির উর্দ্ধতন এক কর্মকর্তা জানান, ক্যাবল কোথায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা জানতে হলে ক্যাবলের ভেতর দিয়ে একটি বিশেষ ধরণের তেল সরবরাহ করতে হবে। ক্যাবলের ভিতর দিয়ে তেল সরবরাহ করে প্রেসার দিয়ে দেখা হয় কোথায় ক্ষতি হয়েছে। এই বিশেষ তেল যুক্তরাজ্য থেকে আনা হচ্ছে। বর্তমানে ডিপিডিসির কাছে এই তেল নেই। নতুন করে আমদানি করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌছেছে। তেল ঢাকায় আসার পর ক্যবালের ক্ষতি পরীক্ষা করে মেরামত করতে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগবে।