বন্যায় এপর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বন্যায় প্রতিদিনই মৃত্যু বাড়ছে। দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানো এখন বড় চ্যালেঞ্জের বলে জানানো হয়েছে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে। সমন্বয়হীনতায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুর্গম এলাকার মানুষ ত্রাণ পাচ্ছেন না। পানি কমার সাথে সাথে নানা দুর্ভোগ বাড়ছে। সেনা নৌ শিক্ষার্থী স্থানীয় প্রশাসনসহ যৌথভাবে কাজ করলেও মৃত্যু কমানো যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের ১১টি জেলায় যে বন্যা চলছে সেখানে এপর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে শুধু কুমিল্লায় ১০ জন মারা গেছেন। এছাড়া ফেনীতে ১ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন , খাগড়াছড়িতে ১জন, নোয়াখালীতে ৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন, লক্ষ্মীপুরে ১জন এবং কক্সবাজারে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সমন্বিতভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। তিনি বলেন, দুর্গম এলাকায় সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারে করে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিলেও এখন পর্যন্ত নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা জানান, কিছু এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। দিন দিন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের অপারেশন্স এন্ড পরিকল্পনা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আলিমুল আমিন বলেন, দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানো বড় চ্যালেঞ্জ।
পানি কমে গেলে গণরান্না কর্মসূচি শুরু করবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক লুৎফর রহমান জানান, পানি কমে রান্নার পরিবেশ তৈরি হলেই গণরান্না কর্মসূচি শুরু করা হবে। বর্তমানে বন্যার্তদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
বন্যায় সন্তোষজনক ভূমিকা না থাকায় রেডক্রিসেন্টের পর্ষদ ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নতুন স্বাস্থ্য সচিব। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।