বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোম্পানি হচ্ছে

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে আলাদা কোম্পানি হচ্ছে। এ কোম্পানির নাম ঠিক করা হয়েছে ‘ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি’। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, পিডিবি, ডিপিডিসি ও ডেসকোর সমন্বয়ে এ কোম্পানি গঠন করা হবে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ঢাকা শহরে প্রতিদিন পাঁচ হাজার টন বর্জ্য হয়। এ বর্জ্য থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। অথচ এসব বর্জ্যরে আধুনিক ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না করার ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং জনসাধারণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। তাই স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, এ কোম্পানিতে ৫০ ভাগ শেয়ার বিদ্যুৎ বিভাগের এবং ৫০ ভাগ শেয়ার থাকবে স্থানীয় সরকার বিভাগের। এতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার ও কালিয়াকৈর সিটি করপোরেশন বা পৌরসভাকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে অনেক বড় জায়গার প্রয়োজন হবে। আমিন বাজার ও মাতুয়াইলের জমি ব্যবহার করা হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করবে সিটি করপোরেশন। বিদ্যুৎ কেনা ও সঞ্চাললের দায়িত্ব থাকবে ডিপিডিসি ও ডেসকো’র। বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে পিডিবি। কোম্পানির চেয়ারম্যান থাকবেন বিদ্যুৎ সচিব অথবা স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব।

প্রাথমিকভাবে বেসরকারি উদ্যোগে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালে এ বিষয়ে একটি ওয়াকিং গ্র“পও গঠন করা হয়। এরপর ২০১০ সালে পরীক্ষামূলক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেয়া হয়। এরপর দরপত্র আহবান করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইতালীর কোম্পানি দ্য ম্যানেজমেন্ট এনভায়রনমেন্ট ফিন্যান্স-এসবিএল কে নির্বাচিত করা হয়। ২০১৩ সালে তাদের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। চুক্তি অনুযায়ি কোম্পানিটির ১৮ মাসের মধ্যে ২০ ভাগ, ২৪ মাসের মধ্যে ৫০ ভাগ এবং ৩৯ মাসের মধ্যে ১০০ ভাগ কাজ শেষ করার কথা। কোম্পানিটি নানা অজুহাতে সময় বাড়ালেও এখন পর্যন্ত কাজই শুরু করতে পারেনি। এখন তারা অর্থায়ন নিশ্চিত করেছে জানিয়ে আবার সময় চাইছে।

এ অবস্থায় গত ২রা আগস্ট সচিবালয়ে এ বিষয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নির্ধারিত সময়ে কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক না হলে নিয়ম অনুযায়ি চুক্তি বাতিলের ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ধরণের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চট্টগ্রাম, খুলনাসহ অন্য সিটি করপোরেশনকে চিঠি দেবে স্থানীয় সরকার বিভাগ।