বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে যাচ্ছে রোসাটম
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান রোসাটমের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘ওটেক’ এবং ডাচ প্রতিষ্ঠান ‘ল্যাগারওয়ে সিস্টেম’ এর মধ্যে একটি অংশীদারিত্তের চুক্তি অনুমোদন করেছে রাশিয়া। এই চুক্তির আওতায় রাশিয়ায় যৌথ উদ্যোগে বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হবে।
এ প্রসঙ্গে রোসাটমের প্রথম উপ-মহাপরিচলাক কিরিল কামারভ জানান, আমরা শুধুমাত্র বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রই তৈরি করবো না। এখাতের জন্য প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যাবস্থার উন্নয়ন, মানব সম্পদ প্রশিক্ষণ, পণ্যের স্থানীয়করণ, সার্টিফিকেশন, গবেষণা ও উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয় আমাদের কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করবো”। তার মতে ভবিষ্যৎ জ্বালানি সমন্বয় করার ক্ষেত্রে পারমাণবিক ও নবায়নযোগ্য জ্বালানী প্রযুক্তি নির্ভর হবে। লো-কার্বন এনার্জি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমাদের পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আনয়নের লক্ষ্যে আমরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি।
রাশিয়ায় ২০২৪ সাল নাগাদ ৩.৬ গিগাওয়াট/ঘণ্টা বায়ু বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে রাশিয়ায় বর্তমানে ৬.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বায়ু বিদ্যুতের বাজার বিদ্যমান। ২০১৮-২০২০ সালের মধ্যে রোসাটম ৬১০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে।
এক্ষেত্রে পণ্যের স্থানীয়করণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এর হিসাব অনুযায়ী বর্তমান বিশ্বে ‘গ্রীন’ এনার্জির ৩৮ শতাংশ আসে পারমাণবিক প্রযুক্তির ব্যাবহারের মাধ্যমে। বিশেষজ্ঞদের মতে পারমাণবিক ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তি একে-অপরের পরিপূরক। পারমাণবিক প্রযুক্তি দিন-রাত ২৪ ঘন্টা ‘বেজ লোড’ নিশ্চিত করে এবং আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল নয়। অন্যদিকে, নবায়নযোগ্য জ্বালানী প্রযুক্তিকে মূলত আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করতে হয়।