বিদ্যুতের দাম কমাতে মামলা করবে ক্যাব
অন্যায়ভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করতে যাচ্ছে ক্যাব।
কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলন করে মামলা করার কথা জানায়। এসময় ক্যাব এর সভাপতি গোলাম রহমান, উপদেষ্টা শামসুল আলম, ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিদ্যুতের নতুন দাম প্রত্যাহার না করা হলে আদালতে মামলা করা হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত হয়নি। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর গণশুনানীতে ক্যাবের পক্ষ থেকে যেসব আপত্তি তুলে ধরা হয়েছিল তার বেশিরভাগই উপেক্ষিত রয়েগেছে।
বিদ্যুতের দাম কমাতে ১৫ দফা দাবি জানিয়েছে ক্যাব। বলা হয়েছে, তরল জ্বালানির দাম সমন্বয় না করায় এর জন্য যে উৎপাদন খরচ বেড়েছে তা সমন্বয় না করা, দ্রুতভাড়া বিদ্যুতের স্থির খরচ যৌক্তিক নয় বলে এটাও সমন্বয় না করা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন তহবিলের অর্থে কম খরচের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা, বিদ্যুৎ জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইন বাতিল করা, ক্যাব এর দেয়া বিদ্যুতের দাম কমানোর প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা, বিদ্যুৎ কোম্পানিতে সক্ষমতাভিত্তিক বেতন চালু করা, অপচয় কমাতে হবে, কম খরচের বিদ্যুৎ বেশি উৎপাদন করতে হবে।
তিনি বলেন, “বিদ্যুতের উৎপাদন ও বিতরণে ঘাটতি যৌক্তিক গণ্য করে বিআরইসি বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করেছে। একি প্রহসন, নাকি প্রতারণা- এর বিচার চায় জনগণ।
গোলাম রহমান বলেন, ভুল নীতি ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যুতে অযৌক্তিক খরচ হচ্ছে, যার পুরোটাই বহন করে ভোক্তারা। বিআরইসি ইচ্ছেমতো-যা খুশি তা করছে। কিন্তু তারা তা করতে পারে না।
বিইআরসি ভোক্তা ও উৎপাদকদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সমন্বয় করবে। তাদের একটি রেগুলেশন আছে- কীভাবে মূল্য নির্ধারিত হবে। কিন্তু সম্প্রতি বিদ্যুতের দাম ঠিক করতে গণশুনাতিতে ভোক্তারা যে যুক্তি-তর্ক, তথ্য প্রমাণ দিয়েছে তা উপেক্ষিত হয়েছে।
ক্যাব এর মামলার কারণে গ্যাসের দাম প্রতিমাসে কমছে বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ২৩ শে নভেম্বর ইউনিট প্রতি গড়ে ৩৫ পয়সা বা পাঁচ দশমিক তিন শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়ায়। যা ডিসেম্বর মাস থেকে কার্যকর হয়েছে।