বিদ্যুৎ খরচ কমাতে গ্যাসের মজুদ বাড়াবে অস্ট্রেলিয়া

অভ্যন্তরীণ গ্যাসের মজুদ বাড়াতে চায় অস্ট্রেলিয়া। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে আনতে চায় দেশটির সরকার। এ লক্ষ্যে দেশীয় গ্যাস উৎপাদকদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের জন্য গ্যাসের মজুদ বাড়াতে প্রয়োজনে চাপ সৃষ্টি করবে সরকার। খবর রয়টার্স।

দেশটির জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রী অনগাস টেইলর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদবিষয়ক মন্ত্রী ম্যাথিউ ক্যানাভান জানিয়েছেন, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে অভ্যন্তরীণ গ্যাসের মজুদ বাড়াতে প্রয়োজনীয় পলিসি তৈরি করবে তারা।

দেশটির কনজারভেটিভ সরকার দীর্ঘদিন ধরে গ্যাসের অভ্যন্তরীণ মজুদ বাড়ানোর পক্ষে ছিল না। কারণ হিসেবে এতদিন মনে করা হচ্ছিল, গ্যাসের অভ্যন্তরীণ মজুদ বাড়ালে গ্যাসের দাম কমবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে উত্তোলনের ওপর এর প্রভাব পড়বে।

কিন্তু দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানি হওয়ায় কয়েক বছর ধরে দেশটিতে গ্যাসের দামে চাঙ্গা ভাব বজায় রয়েছে। এর পর থেকে দেশটির সরকার গ্যাসের অভ্যন্তরীণ মজুদ বাড়ানোর চাপে রয়েছে।

টেইলর ও ক্যানাভানের দেয়া যৌথ এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্যাস রফতানির অনুমোদনের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ চাহিদার ওপর এর প্রভাবের বিষয়টি তেমন বিবেচনায় নেয়া হয়নি। কিন্তু এর ফলে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা অভ্যন্তরীণ চাপ লক্ষ করছি। এ কারণে আমরা আগের মতো আর ভুল করতে চাই না।

দুই বছর আগে সরকার বিতর্কিত অস্ট্রেলিয়ান ডমেস্টিক গ্যাস সিকিউরিটি ম্যাকানিজম পদ্ধতি চালু করেছিল। যেখানে কুইন্সল্যান্ড প্রদেশ থেকে এলএনজি রফতানি কমাতে হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যন্তরীণ সম্পদবিষয়ক মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। মূলত এ অঞ্চলে গ্যাসের সংকট যেন তৈরি না হয়, সে কারণে এ ম্যাকানিজম তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এটির কোনো কার্যকারিতা বাস্তবে কাজে আসেনি।

দেশটির কেমিক্যাল ও ইস্পাত উৎপাদকের মতো গ্যাসনির্ভর উৎপাদকরা দীর্ঘদিন থেকে অভ্যন্তরীণ গ্যাসের মজুদ বাড়াতে চাপ প্রয়োগ করে আসছেন। যাতে তারা গ্যাসের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করতে পারেন। কারণ বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠান লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছে না।
– বণিক বার্তা