বিদ্যুৎ–সংযোগই নেই, তবু বিল ৩৮ হাজার টাকা!
তাঁর নামে বিদ্যুৎ–সংযোগ নেই, কোনো দিন ছিলও না। তারপরও মোস্তফা কামাল নামের এক ব্যক্তির হাতে ৩৮ হাজার ৭১ টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মোস্তফা কামাল টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের তক্তারচালা পাটজাগ বাংলাবাজারে ওষুধের দোকান করেন। তাঁর আলেয়া ফার্মেসির নামে করা বিদ্যুতের এ বিলটি গত ২৯ মে তাঁর হাতে পৌঁছে দেন স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের একজন বিল বিতরণকারী কর্মী। সংযোগ না থাকলেও ওই বিলে ০২২৮০৮ মিটার নম্বরের বিপরীতে বর্তমানে ব্যবহৃত ৭৮২০ ইউনিট বিদ্যুতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ওষুধ ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সম্পূর্ণ কাল্পনিক একটি বিল তৈরি করে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমার দোকানে বিদ্যুতের কোনো সংযোগ নেই, কখনোই ছিল না। তিন বছর আগে আমি সখীপুর বিদ্যুৎ কার্যালয়ে সংযোগ চেয়ে আবেদন করেছিলাম। সংযোগ খরচের জন্য একজন লাইনম্যানকে ১০ হাজার টাকাও দিয়েছিলাম। সংযোগ না পেয়ে অবশেষে ব্যর্থ হয়ে গত এক বছর আগে ওই কার্যালয়ে ঘোরাফেরা বন্ধ করে দিয়েছি। ওই ১০ হাজার টাকার মায়াও ছেড়েছি। হঠাৎ গত মাসে আমার নামে ৩৮ হাজার ৭১ টাকার বিল পেয়ে আশ্চর্য হয়েছি।’ তিনি দাবি করেন, রাতের বেলা তিনি মোমবাতি জ্বালিয়ে দোকান করেন। মোস্তফা বলেন, ‘মিটার ও সংযোগ ছাড়াই বিল! তা-ও আবার ৩৮ হাজার ৭১ টাকা! আমরা এ কোন দেশে বাস করছি?’
ওই এলাকায় বিদ্যুতের বিল বিতরণকারী মাহবুব হোসেন বলেন, প্রকৃতপক্ষেই মোস্তফার ওষুধের দোকানে বিদ্যুতের কোনো সংযোগ নেই। আমি শুধু অফিস থেকে পাঠানো বিলের কাগজটি মোস্তফার হাতে পৌঁছে দিয়েছি।
মিটার রিডার মো. দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মাঠপর্যায়ে বিদ্যুতের বিল বিতরণ ও মিটার দেখে ইউনিট সংগ্রহকারীদের গাফিলতির কারণে হয়তো ওই ব্যক্তি সংযোগ ও মিটার পাননি। যে কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
জানতে চাইলে সখীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) মো. সাইফুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।