বিশ্ববাজারে আবার কমল জ্বালানি তেলের দাম
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দরে নিন্মমুখী প্রবণতা দেখা যায় চলতি সপ্তাহে। নিউ ইয়র্ক, লন্ডন ও এশিয়ার বাজারে দাম কমেছে পণ্যটির। তেল উত্তোলনে ওপেকভুক্ত এবং ওপেকবহির্ভূত সদস্যদের নির্দিষ্ট সীমা থাকার পরও অতিরিক্ত সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগের কারণে দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের শেল (পাথরের খাঁজে জমে থাকা তেল) উত্তোলন খাতের চাঙাভাবের কারণেও পণ্যটির দর নিন্মমুখী রয়েছে।
নিউ ইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) গতকাল ২৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে (ডাব্লিউটিআই)। এপ্রিলে সরবরাহ চুক্তিতে গতকাল পণ্যটির বাজার স্থির হয় প্রতি ব্যারেল ৫২ ডলার ৮৫ সেন্ট দামে। সারা দিনের লেনদেনে পণ্যটির দরপতনের হার দশমিক ২ শতাংশ।
সিডনির আইয়ার্স জোটের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা জোনাথন বারেট বলেন, তেল উত্তোলনের পরিসীমা নির্দিষ্ট আছে। দাম যদি ব্যারেলপ্রতি ৫০ ডলারের নিচে নেমে যায় তাহলে ওপেকভুক্ত দেশগুলো উত্তোলন কমাবে। আর যদি ব্যারেলপ্রতি ৫৫ ডলারের ওপরে উঠে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র উৎপাদন বাড়াবে। আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেলের মজুদ ছিল ১১ দশমিক ৬ মিলিয়ন ব্যারেল, যা বিশ্লেষকদের অনুমানের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি।
লন্ডন ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম কমেছে ব্যারেলপ্রতি ১১ সেন্ট। মে মাসে সরবরাহ চুক্তিতে এ দিন পণ্যটির সর্বশেষ বিক্রয়মূল্য নেমে আসে প্রতি ব্যারেল ৫৬ ডলার ১ সেন্টে। দিনব্যাপী লেনদেনে পণ্যটির দরপতনের হার দশমিক ২ শতাংশ। বাজারগুলোয় এ দিন জ্বালানি তেলের দাম কমাতে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেল উত্তোলনরত কূপের সংখ্যা বৃদ্ধির তথ্যও ভূমিকা রেখেছে। জ্বালানি তথ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বেকার হিউজেসের গত শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে দেশটিতে জ্বালানি তেল উত্তোলনরত কূপের সংখ্যা বেড়েছে সাতটি।