বিশ্ববাজারের সাথে তেলের দাম ১০ টাকার বেশি পার্থক্য নয়

জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ববাজারের সঙ্গে ১০ টাকার বেশি পার্থক্য হবে না।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে (আইএমএফ) এই কথা জানিয়েছে।
আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন ল্যাগার্ডকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠির সঙ্গে দেয়া অর্থনৈতিক স্মারক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে সরকার কী করবে এবং কী করেছে, তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। ঋণ পাওয়ার জন্য এই প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম এখনো ব্যারেলপ্রতি ৪০ ডলারের কাছাকাছি।

সরকারের ভর্তুকি নীতি ও জ্বালানি তেল নিয়ে স্মারকে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশ কমায়নি। এতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। এর ফলে বিপিসি প্রথমবারের মতো দেনাও কমাতে পারছে। আর সাশ্রয় করা অর্থ গরিবদের লক্ষ্ করে সামাজিকভাবে ব্যয় করা হবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সংস্কার প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে মূলত বিপিসির কথাই বলা হয়েছে। এর আগে বিপিসিতে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষক নিয়ে মতভেদ দেখা দিয়েছিল আইএমএফের সঙ্গে। এ কারণে ঋণের কিস্তি বাতিলেরও আশঙ্কা দেখা দেয়। তবে বাংলাদেশ অবস্থান থেকে সরে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিপিসিতে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। তবে এ জন্য আইন বদলানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।