বুধবার রামপাল যাবে ইউনেস্কো
রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে যাচেছ ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদল। বুধবার দুপুরে তারা কেন্দ্র এলাকা পরিদর্শন করবেন।
সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে কিনা এবং সুন্দরবন থেকে এই কেন্দ্রের দুরত্বসহ সামগ্রিক বিষয় তারা পর্যালোচনা করবে।
এদিকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র যে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি করবে না – এই বিষয়ে ইনেস্কোর মুখোমুখি হতে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জল কান্তি ভট্টাচার্য রামপালে যাচ্ছেন। বুধবার তিনি উপস্থিত থেকে ইনেস্কো প্রতিনিধি দলের প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করবেন। তিনি জানান, ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাই। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে। এটি সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি করবে না।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামাল উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেছে ইউনেস্কোর তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল হান্নান বলেন, ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদল তাদের পরিদর্শনের কারণ এবং কোন কোনো এলাকা পরিদর্শন করবেন সে বিষয়ে একটি ধারণা দিয়েছেন। অন্যদিকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সুন্দরবন রক্ষায় যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। সুন্দরবন ঘুরে আসার পর মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আবার বৈঠক করবে তারা।
প্রতিনিধিদলটি প্রথম তিনদিন সুন্দরবন ও এর আশেপাশের এলাকা পরিদর্শন করবেন। বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবন কোন স্থাপনার কারণে হুমকিতে আছে কিনা তা- এই প্রতিনিধি দল পর্যালোচনা করবে। তারা রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা ছাড়াও সুন্দরবনের পাশে পশুর নদী. শ্যালা নদী, মংলা বন্দর, করমজল এমনকি যেসব এলাকায় তেলের ট্যাংকার, কয়লার কার্গো ডুবেছে সেসব এলাকাও সরেজমিন পরিদর্শন করবে। একই সঙ্গে এসব এলাকার সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তা, গবেষক এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র থেকে পাঠানো রি-অ্যাকটিভ মনিটরিং মিশন নামের এই প্রতিনিধিদলটি ২৮ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে। সুন্দরবন পরিদর্শন শেষে দলটি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌ মন্ত্রণালয়সহ সুন্দরবন সংশিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আগামী ২৮ মার্চ বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।