ভারত থেকে আরও বিদ্যুৎ আনতে দুই সঞ্চালন লাইন
ভারত থেকে আরও ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে দুটো সঞ্চালন লাইন স্থাপনের প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মঙ্গলবার এই দুই সঞ্চালন লাইনের অনুমোদন দেয়। এতে খরচ হবে প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ওই দুটিসহ মোট ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরের মধ্যকার আন্তঃদেশীয় সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। এই পথে নতুন করে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনতে বিদ্যমান সঞ্চালন লাইনের ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সঞ্চালন লাইনের ক্ষমতা বাড়ানোর পর এই পথে মোট এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে। এখানে নতুন করে ১২ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন উপকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। জানা গেছে, বাড়তি এই ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতের খোলাবাজার থেকে আমদানি করা হবে। বর্তমানে যে ৫০০ মেগাওয়াট আসছে তা ভারত সরকারের কাছ থেকে কেনা হচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতের পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনতে কুমিল্লায় ২৭ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হবে।
জানা গেছে, ভেড়ামারা সঞ্চালন লাইনের ক্ষমতা বাড়াতে যে প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে তার কাজ শেষ হবে ২০১৮ সালের জুনে। এই প্রকল্পে খরচ হবে ১ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক অর্থায়ন করবে ৬০ শতাংশ। অবশিষ্ট বাংলাদেশ সরকার। অন্যদিকে, কুমিল্লায় সঞ্চালন লাইন প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০১৬ সালের জুনে। এতে খরচ হবে ১৭৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সূত্র জানায়, কুমিল্লায় সঞ্চালন লাইন কাজের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার জিএস কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হয়েছে। সভা শেষে
এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতেই প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
একনেক সভায় বিদ্যুৎ খাতের দুই প্রকল্পসহ মোট ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি ৫১ হাজার ৮২ কোটি টাকার এইচপিএনএসডিপি প্রকল্পটি রয়েছে। অবশ্য এ প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়েছে। আলোচ্য প্রকল্পের মূল বরাদ্দ থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে। ২০১১ সালের জুলাইয়ে একনেকের সভায় ৫৬ হাজার ৯৯৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকার এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হচ্ছে_ ৪০ কোটি টাকার শ্রীমঙ্গল বিসিক শিল্পনগরী প্রকল্প; ৩৫ কোটি টাকার রৌমারী-তুরা স্থলবন্দর সড়ক নির্মাণ প্রকল্প এবং ৩৬ কোটি টাকায় সাত বিভাগের ৬৩টি উপজেলায় কুচে ও কাঁকড়া চাষ ও গবেষণা প্রকল্প উল্লেখযোগ্য।