ভারতে তেল রাখতে আগ্রহী আমিরাত ও কুয়েত

মাটির নীচে নির্মীয়মান স্ট্র্যাটেজিক অয়েল স্টোরেজ ভারতের কাছ থেকে ভাড়ায় নিতে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা অ্যাডনোক এবং কুয়েতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কেপিসি। সংসদে এ কথা জানিয়েছেন ভারতের তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান৷
ভারতের প্রয়োজনের ৭৯ শতাংশ পেট্রোলিয়ামই আমদানি করতে হয়৷ কখনও যাতে জোগানে সমস্যা হলে যাতে দেশে তেলের অভাব না হয়, সে জন্য অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম এবং কর্নাটকের ম্যাঙ্গালোর ও পুডুরে ৫৩.৩ লক্ষ টন তেলের স্টোরেজ বানাচ্ছে ভারত৷
রাজ্যসভায় একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কুয়েতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা যথাক্রমে আবু ধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (অ্যাডনোক) ও কুয়েতের পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (কেপিসি) এ ব্যাপারে (২০ লক্ষ টন তেল ধরে এমন স্টোরেজ) আগ্রহ প্রকাশ করেছে৷’
বিশাখাপত্তনম, ম্যাঙ্গালোর ও পুডুরে যে স্টোরেজ বানানো হচ্ছে সেখানে যে পরিমাণ তেল সঞ্চয় করা যাবে তাতে ভারতের ১০ দিনের প্রয়োজন মিটতে পারে৷
সূ্ত্র জানায়, সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে ১৩.৩ লক্ষ টন ধারন-ক্ষমতা বিশিষ্ট বিশাখাপত্তনমের স্টোরেজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে৷ ১৫ লক্ষ টনের ম্যাঙ্গালোর স্টোরেজ ও ২৫ লক্ষ টনের পুডুরের ইউনিট দু’টি ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে তৈরি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে৷
বিশাখাপত্তনমে মাটির নীচে পাহাড়ের গহ্বরে এই স্টোরেজ তৈরি হচ্ছে যা ১০ তলার সমার গভীর ও মোটামুটি ৩.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ৷ বিশাখাপত্তনমে স্টোরেজ চালু হয়ে গেলে এ ব্যাপারে ভারতও চলে আসবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও চিনের সঙ্গে একই সারিতে৷ শুধু আপত্কাালীন সময়ে তেল সরবরাহ করা নয়, যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কম থাকে তখন এই সব দেশ তেল কিনে রাখে এবং দাম বাড়লে সঞ্চয় কাজে লাগায়৷ ফলে এই সব দেশে তেলের দামও খুব একটা ওঠানামা করে না৷
আসলে, রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্ডিয়া স্ট্রাটেজিক পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ লিমিটেড(আইএসপিআরএল) বিশাখাপত্তনমে স্টোরেজের শুধু মেকানিক্যাল কাজ শেষ করেছে ২০১১ সালের অক্টোবরে৷ ম্যাঙ্গালোরে ২০১২ সালের অক্টোবরে ও পুডুরে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্মাণ কাজে দেরি হয়েছে৷ ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে এই প্রকল্প মঞ্জু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ তখন প্রকল্পের খচর ধরা হয়েছিল ২,৩৯৭ কোটি রুপি, কিন্ত্ত কাজে দেরি হওয়ায় এখন সেই খরচ ৩,৯৫৮ কোটি রুপিতে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ বিশাখাপত্তনমে মোট খরচ হচ্ছে ১,০৩৮ কোটি রুপি, ম্যাঙ্গালোরে ১,২২৭ কোটি রুপি ও পডুরে ১,৬৯৩ কোটি রুপি খরচ হচ্ছে৷– ওয়েবসাইট।