ভূতাত্ত্বিক জরিপ কাজে বাজেট দ্বিগুণ করা হবে
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ কাজ আরও আধুনিক ও বেগবান করতে এখাতে বাজেট দ্বিগুণ করা হবে। বিদ্যুৎসহ সকল বড় স্থাপনা নির্মাণের আগে পরিবেশ ছাড়পত্র এবং ভূতাত্ত্বিক জরিপ নিশ্চিত করতে হবে। এতে স্থাপনার স্থায়ীত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
বৃহস্পতিবার ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর ‘বাংলাদেশের ভূতাত্তিক দুর্যোগ ও ঝুঁকি মোকাবেলা ও নির্নয়ে গবেষনা, পেশাদারি দক্ষতা এবং ভূতাত্তিক জরিপের কারিগরি দক্ষতা বাড়ানো’ শীর্ষক এই সেমিনারে আয়োজন করে। এতে অধিদপ্তরের পাঁচ বছর মেয়াদি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় তাদের কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়। ভূ-তাত্ত্বিক জরিপের মাধ্যমে দেশের খনিজ সম্পদ আবিস্কারসহ মাটির স্তর পরীক্ষা করে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর।
নসরুল হামিদ জিএসবির কর্মকাণ্ডের প্রচার আরও বাড়ানোরও তাগিদ দেন। তিনি বলেন, ভূতত্ত্ব বিষয়ক গবেষণা বাড়িয়ে বিদ্যমান খনিজ সম্পদ আবিস্কার ও এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব নিরূপন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের (জিএসবি) কাজের পরিধি বাড়িয়ে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে উপস্থাপনের উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন ২০২১ সালে বা ২০৩০ সালে বা ২০৪১ সালে বাংলাদেশ কোথায় যাবে তার লক্ষ ঠিক করা হয়েছে। এ লক্ষ মাথায় রেখেই সকল প্রতিষ্ঠানের নিজ নিজ কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া জরুরী। বড় প্রকল্প গ্রহণের আগে পরিবেশের সাথে সাথে ভূতাত্ত্বিক জরিপ করাও প্রয়োজন। গতানুগতিক চিন্তাভাবনার বাইরে এসে দেশের উন্নয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সিরাজুর রহমান খান-এর সভাপতিত্বে সেমিনারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. আবুবকর সিদ্দিক, কম্প্রিহ্যান্সিভ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এর জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো. আাবদুল কাইউম বক্তব্য রাখেন।