মিলিটারি ইন্সটিটিউটে পারমানবিক প্রকৌশল চালু

মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) বাংলাদেশে প্রথমবারের মত কারিগরি ও প্রকৌশল শিক্ষা জগতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এজন্য গত মাসে অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চার বছরের ‘বিএসসি ইন নিউক্লিয়ার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং’ কার্যক্রম চালু করেছে।
রোববার ঢাকার মিরপুর সেনানিবাসের মিলিটারী ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) ‘বাংলাদেশে পারমানবিক প্রকৌশলের সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে। নিউক্লিয়ার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তত্ত্বাবধানে এমআইএসটি, টাওয়ার-১ এর জেনারেল মুস্তাফিজ মাল্কিল্টপারপাস হলে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মঈনুল ইসলাম এডব্লিউসি, পিএসসি এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এর ভাইস চ্যান্সেলর মেজর জেনারেল শেখ মামুন খালেদ এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি বিশেষ অতিথি হিসেবে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, এমআইএসটি এর কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার, এসজিপি, এইচডিএমসি, পিএসসি ও  বেন্কো গ্রুপের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. নজরুল ইসলাম সরকার এএফডব্লিউসি, পিএসসিসহ এমআইএসটি-এর সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীরা সেমিনারে অংশ নেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, নিউক্লিয়ার সাই›স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং একটি নতুন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর প্রকৌশল শিক্ষা কার্যক্রম। একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং বৈশ্বিক বহুমাত্রিক চাহিদা পুরনে নিউক্লিয়ার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রকৌশল এবং এর ব্যবহার আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ বর্তমানে কৃষি, ঔষধ শিল্প ও বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন সহ বিবিধ জনহিতকর ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এজন্য বিশেষত বিজ্ঞান ভিত্তিক নিউক্লিয়ার ঔষধ শিল্প, নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরীতে দক্ষ ও শিক্ষিত জনবলের চাহিদা মেটানোর জন্য এমআইএসটি এর নিউক্লিয়ার সাই›স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ভূমিকা রাখবে।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান উন্নয়নে নিউক্লিয়ার সাই›স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব, ভূমিকা ও প্রাসঙ্গিক দিক নির্দেশনা তুলে ধরেন।