মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমে বিদ্যুতের রিডিং নেয়া হবে
আগামী ১ ফেব্রুয়ারী থেকে ডিপিডিসির সকল এলাকায় মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমে বিদ্যুতের রিডিং নেয়া হবে। মোবাইলে ছবি তুলে মিটার রিডিং নেয়া হবে। এতে বিদ্যুৎ বিল শতভাগ স্বচ্ছতা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ১০ টি এলাকায় এ পদ্ধতি চালু আছে।
মঙ্গলবার ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. (ডিপিডিসি) প্রধান প্রকৌশলী সেন্ট্রালের আওতাধীন এনওসিএস এর বিদ্যুৎ সংযোগ ও গনশুনানিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজধানি ঢাকার বংশালের বাসিন্দা মো. সালিমউল্কèাহ মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে বিদ্যুতের মিটার পেয়েছেন বলে গণশুনানীতে জানান। এমন সেবা যেন প্রত্যেক নাগরিক পান সেই আশা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ডিপিডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব) মো. নজরুল হাসান সরাসরি গ্রাহকদের অভিযোগ শোনেন। অনুষ্ঠানে ডিপিডিসি’র নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) ইঞ্জিনিয়ার মো. রমিজউদ্দিন সরকার, নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন) এ.টি.এম হারুনুর রশীদ, নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) গোলাম মোস্তাফা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল বাসাবো, বনশ্রী, বাংলাবাজার, বংশাল, নারিন্দা, ও স্বামীবাগ এলাকার ৪০ জন গ্রাহক অংশ নেন। গ্রাহকদের মধ্যে বনশ্রীর আলী আকবরকে তাৎক্ষনিকভাবে দুইটি মিটারের অনুমোদন দেয়া হয়। বাসাবো থেকে আসা আবুবকর তার এলাকায় একটি ট্রান্সফরমার দেয়ার অনুরোধ জানান। জায়গা দিলে দ্রত সময়ে ঐ এলাকায় একটি ট্রান্সফরমার লাগানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বংশালের রেজাউল করিম সবুজকেও তাৎক্ষনিক বিদ্যুতের মিটার দেয়ার অনুমোদন দেয়া হয়। নারিন্দার রোকেয়া আক্তারকে বকেয়া বিলের কিস্তি করে দেয়া হয়। একই সাথে একটি মিটার দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। নারিন্দার গ্রাহক মোহাম্মদ বাবুকে বকেয়ার কিস্তি এবং মিটার দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। বংশালের এয়ার মোহাম্মদ ও সালাউদ্দিনকেও তাৎক্ষণিক মিটারের অনুমোদন দেয়া হয়। বনশ্রীর মরিয়ম সিদ্দিকা মেরীর মালিকানাধীন জমিতে আগে থেকেই বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে। এই অভিযোগে তাকে মিটার দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। অথচ একই জমির অন্য শরিকরা এ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন না। এক বছর তিনি এই সমস্যা সমাধানের চে®দ্বা করছেন কিন্তু পারছেন না। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। উপস্থিত বেশ কিছু গ্রাহকেরা ডিপিডিসি’র সেবার প্রশংসা করেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আগামীতে বিদ্যুৎ বল্পব্দ না করেই মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হবে। অনেক প্রকল্কপ্প চলমান আছে। এগুলো শেষ হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ইউরোপ অথবা এশিয়ার উন্নত দেশের মত বিদ্যুৎ সেবা পাবেন গ্রাহকরা। মিটার রিডিং এর ক্ষেত্রেও আর কোন অভিযোগ থাকবেনা। তিনি বলেন, গ্রাহককে সেবা দেয়ার জন্য কিছু সার্ভিস চার্জ আছে। যে সার্ভিস চার্জ দেয়া আছে গ্রাহকরা তাই দেবেন কাউকে বেশী দেবেন না। ডিপিডিসি’র সকল গ্রাহক সেবাকে ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে। অনলাইনে বিদ্যুৎ সেবা গ্রাহকের দোর গোড়ায় পৌছে দেয়া হচ্ছে।
শুনানীতে বংশালের মেহবুব হাসান বলেন, বিদ্যুৎ অফিসে দালাল চক্রে ভরা। দালালের কারণে সত্যিকার কর্মকর্তা খুঁজে পেতে সমস্যা হয়। দালালরা টাকার বিমিয়ে কাজ করে। অনেক সময় টাকা নিয়ে এসব দালালরা যে কাজ করতে পারে সরাসরি গেলে সে কাজ হয়না। তবে স¤ক্স্রতি এই দালালের উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। কোন কোন গ্রাহক বিদ্যুতের দাম কমিয়ে আনার দাবি জানান।