রামপালের কয়লা আমদানি: স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে এক কোম্পানির প্রস্তাব
নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদে রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্রর জন্য কয়লা আমদানি করতে দুই ধরনের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
দুই প্রস্তাবই মূল্যায়ন চলছে। স্বল্পমেয়াদী তিন মাসের জন্য কয়লা আমদানির জন্য দরপত্র মূল্যায়ন শেষ পর্যায়ে। মার্চে এই প্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছিল। দীর্ঘ মেয়াদের জন্য দরপ্রস্তাব জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল গত সপ্তাহে।
দুই প্রস্তাবেই একক কোম্পানি হিসেবে বসুন্ধরা কনর্সোটিয়াম দর জমা দিয়েছে।
মূল্যায়ন শেষে যাচাই কমিটি কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেবে।
বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৗশলি আবসার উদ্দিন এনার্জি বাংলাকে বলেন, মূল্যায়ন চলছে। এসময় নির্দিষ্টভাবে কোন কোম্পানি কয়লা আমদানির কাজ পাবে তা বলা যাবে না। দুই ধরণের দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছে। স্বল্পমেয়াদে তিন মাসের জন্য দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছি আরও আগে। কিছুদিনের মধ্যে সে প্রস্তাব মূল্যায়ন শেষে কার্যাদেশ দেয়া হবে বলে আশা করছি। আর দীর্ঘ দিনের জন্য কয়লা আমদানির দরপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। মূল্যায়ন শেষে এর কার্যাদেশ দিতে আরও দুই মাস লাগবে। মূল্যায়নের যে কমিটি আছে সেই কমিটিই এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
বিআইএফপিসিএল সূত্র জানিয়েছে, স্বল্পমেয়াদে তিন মাসের জন্য কয়লা আমদানি করতে যে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছিল সেখানে ইউএই এর সাথে যৌথভাবে বাংলাদেশের বসুন্ধরা গ্রুপ দরপ্রস্তাব দিয়েছিল। তা মূল্যায়ন প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর দীর্ঘ মেয়াদে পাঁচ বছরের জন্য দুই কোম্পানি প্রস্তাব জমা দিয়েছে। চায়নার এক কোম্পানি আর যৌথভাবে বসুন্ধরা। কিন্তু চায়না কোম্পানি প্রাথমিকভাবেই অযোগ্য কোম্পানি প্রমানিত হয়েছে।
বিআইএফপিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ডিসেম্বরে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করতে সকল উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ছোট ছোট কিছু পরীক্ষা এখন চলছে। সঞ্চালন লাইনও প্রায় শেষ। আগামী সপ্তাহ থেকে জেনারেটর দিয়ে সঞ্চালন লাইনের পরীক্ষা শুরু করা হবে। কয়লা আমদানির কার্যাদেশ দেয়া ছাড়া এখন আর বড় কোন কিছুই বাকী নেই।