রূপপুর পরমাণু বিদ্যুতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ

নির্মানাধীন রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র

আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) তে একক প্রকল্প হিসেবে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে।এতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৪ হাজার ৯৮০ কোটি সাত লাখ টাকা ।
এছাড়া মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রর জন্য তিন হাজার ৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৬০ বছর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এর পেছনে বার্ষিক খরচ হবে মাত্র এক হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণ ব্যয়ের এই প্রকল্পের দুই ইউনিটে ২ হাজার ৪শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল পর্বের কাজ বাস্তবায়নে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে রাশিয়া ৪ শতাংশ সুদহারে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা বা ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে। ১০ বছরের রেয়াতকালসহ ২০ বছর মেয়াদে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

২০১৫ সালের ২৫শে ডিসেম্বর রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের প্রকৌশল বিভাগ এটমস্ত্রয়এক্সপোর্ট (এএসই) জেনারেল কন্ট্রাক্টর হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায়।এখানে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটো ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হবে। রুশ ডিজাইনের ৩+ প্রজন্মের এই রিয়্যাক্টরটি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংক্রান্ত সকল আর্ন্তর্জাতিক চাহিদা মিটাতে সক্ষম।

২০১৬ সালে শুরু হয়ে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক ড. সৌকত আকবর বলেন, এখন পর্যন্ত নির্ধারিত সময় অনুযায়ি এর কাজ এগিয়ে চলেছে।