রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৩ হাজার জনশক্তির প্রয়োজন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রায় ১৩ হাজার জনশক্তি প্রয়োজন। নির্মাণে বর্তমানে প্রায় ২১ হাজার জনশক্তি কাজ করছে।
ঈশ্বরদীর পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্রে (১৬ই সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে রূপপুর এনপিপি নির্মাণের অবদান’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা একথা বলেন।
রোসাটম স্টেট কর্পোরেশন, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং এটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট (এএসই) যৌথভাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে বলা হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জ্বালানি আবার ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ, ওভারহোলিং এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে দুটি চুল্লীর জন্য জনশক্তির প্রয়োজন হবে।
এএসই গ্রুপের যোগাযোগ বিভাগের বিশেষজ্ঞ নাটালিয়া গনচারোভা ‘প্রকৌশল বিভাগে টেকসই উন্নয়ন’ বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মস্কোর জেএসসি এটমস্ট্রযয়এক্সপোর্টের প্রধান বিশেষজ্ঞ কনস্ট্যান্টিন ফোকিন রূপপুর এনপিপি নির্মাণ প্রকল্পের জন্য রোসাটম পারমাণবিক শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষমতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
নাটালিয়া গনচারোভা বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শেষ হলে পরিচালনার জন্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার বিশেষজ্ঞের কর্মসংস্থান হবে। এছাড়াও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পরোক্ষভাবে আরও দশ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এই কেন্দ্র থেকে ১৫ লাখের বেশি পরিবারকে সাশ্রয়ী ও পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
কনস্ট্যান্টিন ফোকিন বলেন, রাশিয়ার বিজ্ঞান ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোটার ভিত্তিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের রাশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পরমাণু এবং অন্যান্য পারমাণবিক নির্দিষ্ট শাখায় অধ্যয়নের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। রোসাটম কোটায় কমপক্ষে ৬৯ জন ছাত্র স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেছে। তাদের মধ্যে ২৬ জন স্নাতক বিএইসিতে নিযুক্ত হয়েছে।
এসময় রোসাটমের এনার্জি অব দি ফিচার বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল আলেক্সজেন্ডার বেবেকেভসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
(১২০০ + ১২০০) ২৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদনের ক্ষমতার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসবে।