রূপপুর যাচ্ছে বিদ্যুতে: বরাদ্দ আবারও সর্বোচ্চ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রর অর্থ বরাদ্দের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে। আর এবারও গত কয়েক বছরের মত একক প্রকল্প হিসেবে রূপপুরের জন্য সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এখন থেকে বিদ্যুতের এডিপিতে রূপপুরের জন্য বরাদ্দ থাকবে। তবে নির্মাণের দায়িত্ব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়েই থাকবে।
পরিকল্পনা কমিশন এই প্রস্তাব আগেই চূড়ান্ত করে। ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি বরাদ্দও এভাবেই করা হয়েছে।
সোয়া লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নতুন দায়িত্ব দেয়া হলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, তবে এই প্রকল্পের বরাদ্দ দেখানো হবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের সাথে বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক নেই। সে জন্য দায়িত্ব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে দেয়া হয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৮ হাজার ৪২৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে একক প্রকল্প হিসেবে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র সবচেয়ে বেশি অর্থ বরাদ্দ দেয়া হল। এরআগের বছরও রূপপুরে সর্বোচ্চ বরাদ্দ ছিল।
বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ হাজার ১৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল পাওয়ার প্রকল্পে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচিতে (পিইডিপি-৪)’ দেয়া হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৫৪ কোটি টাকা। মেট্রোরেলে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, পদ্মা সেতু রেল সংযোগে ৩ হাজার ৮২৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সংযোগ প্রকল্পের জন্য দেয়া হয়েছে ৩ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। পদ্ম বহুমূখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য ৩ হাজার ২২৭ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
রাজধানীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করতে ডিপিডিসিকে দেয়া হয়েছে ৩ হাজার ৫১ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণে (১ম পর্যায়) দেয়া হয়েছে ২ হাজার ৮২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা।